কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পিয়াজের দাম এই মুহূর্তে বেশি। তবে কোনো ক্রমেই পিয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি থাকবে না। এটা অবশ্যই কমে আসবে। ভারত ইতিমধ্যেই পিয়াজ রফতানির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, কাজেই পিয়াজের দাম কমবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শিরিন আখতারের (ফেনী-১) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এখন পিয়াজের মৌসুম। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পিয়াজ আসছে এবং অন্যান্য দেশ থেকেও এসময় পিয়াজ আসবে। এছাড়া আমাদের বিজ্ঞানীরা পিয়াজের অনেক উন্নতমানের জাত আবিষ্কার করেছেন এবং এখন হেক্টরে ২০, ২৫, ৩০ টন পর্যন্ত পিয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব।
পিয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল:
সরকারি দলের আয়েন উদ্দিনের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃমন্ত্রী বলেন, পিয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এটা ঠিক। গত মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতেই পিয়াজ নষ্ট হয়ে যায়, ফলে অধিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হঠাৎ করে পিয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে দেশে হু হু করে পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়, আমরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
সরকার দ্রুত চীন, মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে বর্তমানে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পিয়াজ নিয়ে কোনো সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। যদি আমদানি করতেই হয়, তবে আগে থেকেই আমদানির ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকরা যাতে পিয়াজ উৎপাদন করে ন্যায্যমূল্য পায় তার জন্য স্থানীয়ভাবে পিয়াজ সংরক্ষণের নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৭জানু২০২০