নাহিদ বিন রফিক: পুঁইশাক একটি কোমলকান্ড বিশিষ্ট লতানো উদ্ভিদ। এর কান্ড, ডগা, পাতা সবই খাওয়া যায়। পুঁইর জাত দু’টো। একটি বন্য বা জংলা এবং অপরটি হচ্ছে উন্নত জাত। জংলার ডাঁটা সুরু, পাতা ছোট এবং অপেক্ষাকৃত লম্বা, পাতলা আর উন্নত জাতের পাতা কিছুটা গোলাকৃতি, আকারে বড় এবং পুরু; ডাঁটাও বেশ মোটা। লাল এবং সবুজ দু’ধরনের পুঁইশাকের মধ্যে লাল রঙের কদরই বেশি। পুঁইশাক খেতে খুবই সুস্বাদু। দামেও সস্তা। অথচ পুষ্টির দিক হতে এর অবস্থান অনেক শীর্ষে। তাইতো বলা হয়, ‘শাকের রাজা পুঁই’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রামে ১২৭৫০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, ৬৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ১৬৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আছে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আমিষ ২.২ গ্রাম, শর্করা ৪.২ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.৩৮ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে ২৭ কিলোক্যালরি। পুঁইশাকে ওষুধিগুণে ভরপুর। হুপিং কাশি হলে পুঁইশাকের রস এবং ছাগলের দুধ একত্রে মিশিয়ে নিয়মিত এক সপ্তাহ খেলে কাশির প্রকোপ হ্রাস পায়। সর্দি, মেয়েদের (গর্ভাবস্থায়) কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে পুঁই’র রস অনন্য। হাত-পা ফেটে গেলে পুঁইশাকের সিদ্ধ করা পানিতে ১৫/২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এভাবে দিনে দু’বার নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এছাড়া পুঁইশাকের রস শরীরে মাখলে আমবাতের চুলকানি সেরে যায়। পুঁইশাক মুখে রুচি বাড়ায় এবং দেহে আনে শক্তি। তাই আসুন, আমরা সবাই বেশি করে পুঁইশাক খাই।