পুকুরে ছাড়ার পূর্বে মাছের পোনা শোধনে করণীয়

1103

মেৌছর-পোনা
পুকুরে ছাড়ার পূর্বে মাছের পোনা শোধনে করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। আমাদের দেশে মাছ চাষ একটি লাভজনক পেশা। মাছ চাষ করে অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মাছ চাষের ক্ষেত্রে মাছের পোনা শোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন জেনে নেই পুকুরে ছাড়ার পূর্বে মাছের পোনা শোধনে করণীয় সম্পর্কে-

পুকুরে ছাড়ার পূর্বে মাছের পোনা শোধনে করণীয়ঃ
পুকুরে ছাড়ার পূর্বে পোনা শোধন করে নিলে মাছের পোনা সুস্থ থাকবে এবং রোগ বালাই হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। পুকুরে ছাড়ার পূর্বে মাছের পোনা শোধনের নিয়ম নিচে দেওয়া হল –

১। একটি বালতিতে ১০লিটার পানি নিয়ে এর মধ্যে ২০০ গ্রাম খাবার লবণ অথবা ১ চা চামচ ডাক্তারি পটাশ (KMno4) মিশাতে হবে।

২। এরপর বালতির উপর একটি ঘন জাল রেখে তার মধ্যে প্রতিবার ২০০-৩০০টি পোনা ছাড়তে হবে।

৩। তারপর জাল ধরে পোনা গুলোকে বালতির পানিতে ৩০ সেকেণ্ড গোসল করাতে হবে।

৪। এভাবে একবার তৈরি করা লবণ বা পটাশের পানিতে ৫ থেকে ৭ বার শোধন করা যাবে।

ডাক্তারি পটাশ বা লবণ পানি দিয়ে পোনা শোধন ছাড়াও এটিন্টবায়েটিক দিয়ে পোনাকে পুকুরে ছাড়ার সাথে সাথেই রোগমুক্ত বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

পুকুরে পোনা ছাড়ার পর Oxysaytin, Lenocide ইত্যাদি গ্রাম পজেটিভ, গ্রাম নেগেটিভ ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস, ফ্যাংগাস, এ্যালজি ও প্রোটজোয়াজনিত মারাত্ণক ক্ষতিকর রোগজীবাণুগুলোকে প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া য়ায়।

এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এমন ঔষধ পাওয়া যায়। Lenocide লোরী বা নাসারিাইড (তরল)ঃ

৫০০ মিলি/ ১০০ শতাংশ (যখন পানিরগভীরতা ২-৩ ফুট)
১০০০ সিসি /১০০ শতাংশ (যখন পানির গভীরতা ৫-৬ ফুট)
Oxysentin ২০% (পাউডার)ঃ প্রতি ১০০ কেজি খাবারে ১০ দিন পর্যন্ত খাওয়াতে হবে।
Renamycin (পাউডার)ঃ ১ চা চামচ পাউডার প্রতি১০ কেজি খাবারে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২১জানু২০২০