মাছ চাষি ভাইয়েরা অনেক সময় পুকুরে জোঁকের আক্রমণ দেখতে পান। সাধারণত মাছের জোঁক আক্রান্ত রোগ হিসেবে ধরা হয়। এ রোগের আক্রমণ হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাছ মারা যায়। তবে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সাধারণত বাটা ও মাগুর মাছে এ আক্রমণ বেশি দেখা দেয়। তবে তবে মাঝে মধ্যে অন্যান্য বড় মাছেও এ রোগ দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ: স্বল্প পিএইচ এর পানিতে (অম্লপানিতে) তলায় বিচরণকারী মাছসমূহের গায়ে জোঁকের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
জোঁকগুলো ত্বক থেকে দেহের রস শোষণ করতে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে, যাতে পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দ্বারা মাছ আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। পোসথোডিপেস্নাটোমাম প্রজাতি এ রোগের কারণ।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ: প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
প্রতিরোধ: পুকুর প্রস্তুতকালে একই হারে চুন প্রয়োগ করলে পরবর্তী মৌসুমে জোঁকের প্রাদুর্ভাব থাকে না।
পুকুরে জোঁকের আক্রমণ রোধে করণীয় সংবাদের তথ্য মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪ফেব্রুয়ারি২০২১