মাছ চাষ আজকাল একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে মৎস্য চাষিদের কাছে স্থান করে নিয়েছে। স্বল্প পুজিতেই মাছ চাষ করা যায় বলে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক এই পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। যারা একদম নতুন তারা মাছ চাষ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীনে পড়েন বিশেষ করে পুকুরে কোন রোগের আক্রমণ হয়েছি কিনা তা বুঝতে পারেন না । কিন্তু পুকুরে চাষকৃত মাছ দেখে সহজেই বুঝে নেয়া যায় পুকুরে কোন সমস্যা আছে কিনা। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক পুকুরের মাছ দেখেই কিভাবে পুকুরেরে সমস্যা জানা যায় সে সম্পর্কে-
পুকুরের সমস্যা নির্ণয়ের উপায়ঃ
পুকুরে মাছ ভাসলে, এবং খাবি খেতে থাকলে, মৃত মাছের মুখ হা করা থাকলে, ও ফুলকা দেখতে ফ্যাকাসে দেখালে,বুঝতে হবে পুকুরে অক্সিজেন সল্পতা দেখা দিয়েছে।
মৃত অথবা জীবিত মাছের শরীরে ও ফুলকায় অত্যধিক মিউকাস বা শ্লেষ্মা দেখা গেলে, বুঝতে হবে পানিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বা পিএইস বৃদ্ধি পেয়েছে।
সদ্য মৃত বিশেষ করে বিকেলে মৃত বা খাবি খাওয়া মাছের ফুলকার রং গাঢ় লাল হলে, বুঝতে হবে এ্যামোনিয়া ও নাইট্রাইটের পরিমান বেড়ে গেছে।
ধানি পোনার গায়ে ফোস্কা বা গ্যাস বাবল এর মত দেখা দিলে, বুঝতে হবে পানিতে নাইট্রোজেন গ্যাসের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুকুরের তলদেশে বসবাসকারী মাছ প্রথমে মারা যেতে থাকলে, এবং পুকুরের কাঁদার গন্ধ পঁচা ডিমের মত হলে, বুঝতে হবে পানিতে হাইড্রোজেন সালফাইডের (H2s) পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
সমস্যা সমাধানে করণীয়
ভালভাবে পুকুর প্রস্তুতি করা, প্রতিমাসে চুন ও লবন প্রয়োগ করা।
অতিরিক্ত খাবার না দেওয়া, অন্তত সপ্তাহে একবার হররা টানা।
পুকুরে দৈনিক আট ঘন্টা সূর্যালোকের ব্যবস্তা করা।
পানির যোজন- বিয়োজনের ব্যবস্তা রাখা।
অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ না করা।
পুকুরে গ্যাস তৈরী হয় এমন কিছু যাতে না পড়ে সে দিকে নজর রাখা ইত্যাদি।
এসব নিয়ম মেনে চললে ইনশাআল্লাহ মাছের কোন রোগ হবেনা।