হ্যাচারিতে শোল ও টাকি মাছের পোনা উৎপাদন করা হয় প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাতৃ মাছ সংগ্রহ করে এদের হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু গ্রাম পর্যায়ে বা একজন সাধারন কৃষকের ক্ষেত্রে এ সমস্ত নিয়ম ফলো করা বেশ জটিল। এজন্য খুব সহজে কিভাবে পুকুরে শোল ও টাকি মাছের পোনা উৎপাদন করা যায় তার প্রতিটি ধাপ এখানে তুলে ধরা হলো।
শোল ও টাকি মাছের পোনা উৎপাদন করতে ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে পুকুর ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর পুকুরের নিচের মাটি ঠিকমতো গোবর ও অন্যান্য সার দিয়ে চাষ দিতে হয়। পুকুরের তলদেশে ঘাস জন্মানোর কিছুদিন পর পুকুর থেকে পানি দিয়ে বোঝাই করতে হবে।
পুকুরে পানি দেয়ার পর ঘাসগুলো ধীরে ধীরে একাই বড় হতে থাকবে। যদি ঘাস জন্মানো সম্ভব না হয় তবে পুকুরে কচুরিপানা দিয়ে দিতে হবে। এরপর পুকুরের চারপাশে 5 ফুট উচ্চতার জাল মাটির সাথে গেঁথে দিতে হবে। পুকুরের পাড়ে জাল না দিলে বর্ষার সময় শোল মাছ লাফিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পোনা উৎপাদনের জন্য প্রতি শতাংশে দশটি করে টাকি এবং চারটি করে শোল মাছ মজুদ করতে হয়। মজুদের পর এদের খাবার হিসেবে কার্ড জাতীয় মাছের ধানী পোনা মাছের খাবার হিসেবে সরবরাহ করা যায়। এছাড়া ব্যাংক এবং ব্যাঙের ছোট ছোট বাচ্চা ও টাকি মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো সংগ্রহ করা না গেলে পুকুরে শুটকি মাছের গুড়া দিয়ে যেতে হবে ।
শোল এবং টাকি মাছ মূলত বৈশাখ মাসের প্রথম থেকে বাচ্চা দিতে শুরু করে বাচ্চাগুলো ঝাকে ঝাকে ঘোরাঘুরি করে। বাচ্চা দেয়ার পরপরই ঠেলা জালে দিয়ে এদের আলাদা করে হাউসে নিয়ে যেতে হবে। কারণ পুকুরে যদি বাচ্চা বেশি দিন থাকে তবে অন্য মাছ এগুলোকে খেয়ে ফেলতে পারে।
হাউসে নিয়ে যাওয়ার পর এই বাচ্চা মাছগুলোকে খাবার হিসেবে শুটকি গুড়া খুব ভালোভাবে চূর্ণ করে দিতে হবে। খাবার হিসেবে চিংড়ি মাছের শুটকি সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এভাবে 15 দিন হাউসে রাখার পর মাছের পোনাগুলো ২ থেকে ৩ ইঞ্চি আকার হয় এ সময় এগুলোকে পুকুরে চাষের জন্য অবমুক্ত করা যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ