পুকুরে সার প্রয়োগে যা খেয়াল করা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে মাছ চাষ একটি লাভজনক পেশা। মাছ চাষ করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মাছ চাষের পুকুরে সার প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন জেনে নেই পুকুরে সার প্রয়োগে যা খেয়াল করা জরুরী সে সম্পর্কে-
পুকুরে সার প্রয়োগে যা খেয়াল করা জরুরীঃ
সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে সার প্রয়োগ করা হলে পুকুর বা জলাশয়ের পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং পুকুর বা জলাশয়ে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হবে। প্রয়োজন ছাড়া অসময়ে বা অপ্রয়োজনে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হলে পুকুর বা জলাশয়ের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি না পেয়ে বরং মাছ চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বিবেচ্য বিষয়গুলোঃ
১। দুপুরের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সিন্টিগ্রেডের বেশি হলে রাসায়নিক সার দেয়া যাবে কিন্তু তাপমাত্রা এর কম থাকলে রাসায়নিক সার দেয়া যাবে না।
২। সেচী ডিস্ক স্বচ্ছতা ৪০ সে. মি. এর বেশি হলে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে কিন্তু সেচী ডিস্ক স্বচ্ছতা ৪০ সে. মি এর কম হলে রাসায়নিক সার দেয়া যাবে না।
৩। পুকুর বা জলাশয়ে সূর্যাস্তের সময় পানির পি এইচ ৯.০ এর কম হলে সেই পুকুর বা জলাশয়ে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে কিন্তু সূর্যাস্তের সময় পি এইচ ৯.০ এর বেশি হলে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে না।
৪। ভোরে সূর্যোদয়ের সময় পুকুর বা জলাশয়ে অক্সিজেন ৩.০ মিলিগ্রাম/লি এর বেশি থাকলে সেই পুকুর বা জলাশয়ে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে কিন্তু ভোরে সূর্যোদয়ের সময় অক্সিজেন ৩.০ মিলিগ্রাম/লি এর কম থাকলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২২ফেব্রু২০২০