পুলেট ম্যানেজমেন্টে খামারিদের উদাসীনতাই তাদের লসের অন্যতম কারণ

350

লেয়ার ফার্মাররা সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করে সেটা হলো পুলেট ম্যানেজমেন্টে উদাসীনতা। তারা কেন জানি পুলেট মুরগীর যত্নের চেয়ে লেয়িং মুরগীর যত্ন নিতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু যে ফ্লকে পুলেট মুরগী অযত্নে-অবহেলায় লালন পালন করা হয়, সে ফ্লকের লেয়িং মুরগীর পারফর্মেন্স কখনও ভাল হবে না এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

পুলেট মুরগীর যত্ন বলতে-
১. বয়সের সাথে পুলেট মুরগীর ওজন ও খাদ্য গ্রহনের পরিমান ঠিক রাখা।
২. সঠিক সময়ে সবগুলো ভ্যাকসিন প্রদান করা।
৩. ফ্লোর স্পেস অনুযায়ী পুলেট মুরগীর পালন করা।যেন মুরগীর ঘনত্ব বেড়ে না যায়।
৪. লাইটিং সিডিউল নিয়ম মত মেনে চলা।
৫. সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে ঠোঁট ছ্যাঁকা, ঠোঁট কাটা ও খাঁচায় স্থানাস্তর করা।

আমার দেখা ১০ টার মাঝে ৮ টা খামারেই খামরীরা এই বিষয়গুলোর প্রতি চরমভাবে উদাসীন। ফলে দেখা যায় ১৮ সপ্তাহ বয়সেও মুরগীর কাঙ্খিত ওজন আসে না। ডিম আসবে কোথা থেকে? ফলে প্রোডাকশন ১-১.৫ মাস পিছিয়ে যায়। এই ফ্লকগুলোর ইউনিফর্মিটি অনেক খারাপ হয়ে যায় ফলে প্রোডাকশন কখনই পিক এ উঠে না। উঠলেও সর্বোচ্চ ১-২ সপ্তাহ পরে আবার প্রোডাকশন পিক থেকে নেমে যায়। যার ফল স্বরূপ খামারী আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে না। এক্ষেত্রে অনেক খামারী দ্রুত ওজন আনার জন্য পুলেটকে সয়াবিন তেল খাওয়ায়। যা মুরগীকে বিষ খাওয়ানোর সামিল।

একটা বিষয় মাথায় ঢুকায় নিন যদি পুলেট ম্যানেজমেন্ট খারাপ হয় তবে সেই পুরো ফ্লক জুড়ে আপনাকে কষ্ট ভোগ করতে হবে। সুতরাং একটি লেয়ার ফ্লক সুস্থ ও লাভজনক ভাবে চালাতে হলে পুলেট ম্যানেজমেন্টের বিষয়গুলোর সাথে কোন আপোষ করা যাবে না। যথাসময়ে ভ্যাকসিনেশন, মেডিকেশন, ঠোঁট ছ্যাঁকা, ঠোঁট কাটা, খাচায় স্থানান্তর করতে হবে। পাশাপাশি বয়সের সাথে ওজন যেন ঠিক থাকে সে বিষয়গুলো ১০০% নিশ্চিত করতে হবে।

লেখকঃঃ ডাঃ শুভ দত্ত

ফার্মসএন্ডফার্মার/০১নভেম্বর ২০