পুষ্টিকর ঘাস প্লান্টেইনের চাষ

421

পুষ্টিকর-ঘাস

দেশে শুরু হয়েছে উচ্চশক্তি সম্পন্ন পুষ্টিকর পশুখাদ্য প্লান্টেইন নামের ঘাসের চাষ।

পশুর শরীরে গ্রোথ হরমোন ব্যবহারের ওপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিষেধাজ্ঞার পর উন্নতবিশ্ব শুরু করে জৈব ও পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে গবেষণা।

এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ওই ঘাস ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে খামারিদের মাঝে।

২০০৪ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা আনে পশুর শরীরে যেকোনো ধরনের গ্রোথ প্রমোটার ব্যবহারের ওপর। তারপর থেকেই নতুন উদ্যমে চলতে থাকে পশুপুষ্টি নিয়ে গবেষণা।

বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পুষ্টি বিভাগের তরুণ বিজ্ঞানী ড. আল মামুন জাপানের ইউআতে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক গবেষণার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে পুষ্টিকর ঘাস প্লান্টেইন নিয়ে দীর্ঘ অভিযোজন পরীক্ষায় সফল হন।

এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে বিজ্ঞান একাডেমি ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি সংস্থার যৌথ অর্থায়নে মানিকগঞ্জের গিলান্ডো গ্রামে ৬ জন কৃষকের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক প্লান্টেইন চাষের এই প্রকল্প।

ঘাসের পুষ্টিমাণ ও উপকারিতা সম্পর্কে ইতোমধ্যেই ধারণা পেয়েছেন কৃষক। বিজ্ঞানীরাও যথেষ্টই আশাবাদী প্লান্টেইন নিয়ে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আল মামুন বলছেন, “মাঠ ফসল হিসেবেও কৃষকের জন্য লাভজনক হতে পারে প্লান্টেইনের চাষ।”

লেখক: শাইখ সিরাজ, কৃষি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

 

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন