কাদাকনাথ মুরগির এখন দেখা মিলবে রাজশাহীতে। কুচকুচে কালো এই কাদাকনাথ মুরগি কাদাকনাথ কালো হীরা বলেও ডাকা হয়। এই মুরগির শুধু পালক বা চামড়া কালো নয়। ডিম, মাংস, হাড়, কলিজা- সবই কালো কুচকুচে কালো। অন্য মুরগির চেয়ে যেমন সব কিছু আলাদা তেমনি পুষ্টির দিক দিয়েও অন্য মুরগির তুলনায় অনেকগুণ বেশি। এই মুরগির জন্ম স্থান ভারতের মধ্যপ্রদেশে। তবে তা এখন পাওয়া যায় বাংলাদেশের রাজশাহীতে।
এই মুরগির খামার রয়েছে রাজশাহীর মহানগরীর উপকণ্ঠ মাসকাটাদীঘি এলাকায়। খামারের মালিক সরকার শরীফুল ইসলাম।
উক্ত খামারের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদুর রহমান সুইট বলেন, দুই কেজি ওজনের একটি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় এবং একটি ডিম বিক্রি হয়ে ৩০ টাকা করে। বছরখানেক আগে খামারে এই মুরগির বাচ্চা আনা হয় ভারত থেকে।
মাসুদুর রহমান সুইট আরো জানান,কাদাকনাথ মুরগিও দেশি মুরগির মতো পালন করা যায়। এই মুরগির মাংস দেশি, ব্রয়লার, লেয়ার বা ককরেল মুরগির চেয়ে সুস্বাদু ও নিরাপদ। রোগীদের পথ্য হিসাবেও ব্যবহার করা হয় এই মুরগির মাংস এবং ডিম। মূলত এই মুরগির ওষুধি গুণের কারণেই মুরগির পালন শুরু করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, যৌন দুর্বলতা এমনকি ক্যান্সারের মত জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কাদাকনাথ মুরগির মাংস এবং ডিম খুব উপকারী। অন্যান্য মুরগিতে আমিষের পরিমাণ ২০ শতাংশ হলেও এই মুরগির মাংসে আমিষের পরিমাণ ২৫ শতাংশের বেশি। এছাড়া এই মাংসে আছে পরিমিত ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৬, বি-১২, সি, ই, নিয়াসিন, প্রোটিন, সামান্য চর্বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ ও নিকোটিন এসিড।
উচ্চ রক্তচাপের রোগিদের জন্য এর ডিম খুবই উপকারী। ডিমে খুবই সমান্য পরিমাণে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকলেও মারাত্মক মাথা ব্যথারও নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে।
এই মুরগির মাংসে কোলেস্টেরেল’র মাত্র শূন্য দশমিক ৭৩ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ, যা অন্য মুরগিতে ১৩ থেকে ২৫ শতাংশ। তাছাড়া এর মাংসে রয়েছে ১৮ ধরনের হরমোন সমৃদ্ধ এমাইনো এসিড যার মধ্যে ৮টি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ