১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেল ও গর্ভবতী পুত্রবধুকেও ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা এ ধরনের নিষ্ঠুর রাজনৈতিক হত্যাকান্ড আর দেখি নাই বলে মন্তব্য করেছেন সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ড. অনুপম সেন বলেন, ‘যারা ১৯৭১ সালে পরাজিত হয়েছিল তারাই এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েও বঙ্গবন্ধু আজ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির প্রথম নিজের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে।’
বিকাল ৪টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আসলে বাংলাদেশকেই হত্যা করা হয়েছিল। ইতিহাসের নির্মম ঘটনা হচ্ছে-বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করা হলো। খুনিচক্র এখনও সক্রিয়। তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জঘন্য হামলা চালিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের মাঝে যারা এখনও দেশের বাইরে অবস্থান করছে তাদেরকে দেশে এনে দণ্ড কার্যকর করা হউক।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. বিবেক চন্দ্র সূত্রধর, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ডা. কাজী রোখসানা সুলতানা, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সুচন্দন সিকদার, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ আরিফ, কর্মচারী ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মো. মহিন উদ্দিন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. হামীম মল্লিক, দীপ্ত কুমার পাল, নিশাত তাসনিম তানিয়া প্রমুখ।