পেঁয়াজের আমদানিনির্ভরতা কমছে

113

দেশে আমদানিনির্ভরতা কমছে উল্লেখ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, ‘চলতি মৌসুমে ১৬ লাখ টন পেঁয়াজের আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমদানি করতে হয়েছে মাত্র ৭ লাখ টন। দেশে অসময়েও প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন করা হচ্ছে।’

গতকাল শনিবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার ইছাখালাীর মাঠে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নাসিক এন-৫৩ মাঠ দিবসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের আমদানিনির্ভরতা কমাতে সারাবছর পেঁয়াজ উৎপাদনের চেষ্টা করছে সরকার। চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নাসিক এন-৫৩ জাতের বীজ কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছিল; যা থেকে ভালো ফলন পাচ্ছে কৃষকরা।’

কৃষি সচিব বলেন, ‘চলতি মৌসুমে একটু দেরিতে চাষিদের মধ্যে এ জাতের পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে জুন মাসের প্রথমেই চাষিদের মাঝে এ পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হবে। যাতে কৃষকরা ভালো দাম পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক কেজি পেঁয়াজ উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয় ৩৪ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম যাতে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে থাকে, সে চেষ্টাই করছে মন্ত্রণালয়।’

এ সময় তারা গ্রীষ্মকালীন নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের ক্ষেত ঘুর দেখেন তারা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেনÑজেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারসহ এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।