রোগের কারণ : অলটারনারিয়া পোরি (Aternaria Porri) ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাওসাম (Stemphylium botryosum) নামক ছত্রাক।
রোগের বিস্তার : আক্রান্ত বীজ, বায়ু ও গাছের পরিত্যক্ত অংশের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। অতিরিক্ত শিশির, আর্দ্র আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্পোর বায়ুর মাধ্যমে এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।
রোগের লক্ষণ
১. প্রথমে পাতা ও বীজবাহী কান্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী বা হলুদ রং এর দাগের সৃষ্টি হয়।
২. দাগগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয়।
৩. দাগের মধ্যবর্তী অংশ প্রথমে লালচে বাদামী ও পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।
৪. আক্রান্ত পাতা উপরের দিক হতে ক্রমান্বয়ে মরে যেতে থাকে। ব্যাপকভাবে আক্রান্ত পাতা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে হলদে হয়ে মরে যায়।
৫. বীজবাহী কান্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।
৬. এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।
৭. রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।
রোগের প্রতিকার
১. সুস্থ, নীরোগ বীজ ও চারা ব্যবহার করতে হবে।
২. রোগ সহনশীল প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে।
৩. আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।
৪. বীজ পিঁয়াজের ক্ষেত্রে নভেম্বরের ১-১৫ তারিখের মধ্যে কন্দ রোপণ করতে হবে।
৫. প্রোভেক্স বা রুভরাল ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।
৬. জমিতে রোগ দেখা দিলে রুভরাল/ইভারাল ৫০ ডচ প্রতিলিটার পানিতে ২ গ্রাম ও রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর পর্যায়ক্রমে ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭ডিসেম্বর২০২০