পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ বিস্তারের লক্ষণ ও প্রতিকার

710

পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট (Purple Blotch) রোগ।

রোগের কারণ:

অলটারনারিয়া পোরি (Aternaria Porri) ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাওসাম (Stemphylium botryosum) নামক ছত্রাক।

রোগের_বিস্তার :
আক্রান্ত বীজ, বায়ু ও গাছের পরিত্যক্ত অংশের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। অতিরিক্ত শিশির, আর্দ্র আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্পোর বায়ুর মাধ্যমে এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।

রোগের_লক্ষণঃ
প্রথমে পাতা ও বীজবাহী কান্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী বা হলুদ রং এর দাগের সৃষ্টি হয়।
দাগগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয়।
দাগের মধ্যবর্তী অংশ প্রথমে লালচে বাদামী ও পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।
আক্রান্ত পাতা উপরের দিক হতে ক্রমান্বয়ে মরে যেতে থাকে। ব্যাপকভাবে আক্রান্ত পাতা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে হলদে হয়ে মরে যায়।
বীজবাহী কান্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।
এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।
রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।

রোগের প্রতিকারঃ
সুস্থ, নীরোগ বীজ ও চারা ব্যবহার করতে হবে।
রোগ সহনশীল প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে।
আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।
বীজ পিঁয়াজের ক্ষেত্রে নভেম্বরের ১-১৫ তারিখের মধ্যে কন্দ রোপণ করতে হবে।
ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমনঃ- রোভরাল/প্রোডন প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।
জমিতে রোগ দেখা দিলে ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমনঃ-রোভরাল/প্রোডন প্রতিলিটার পানিতে ২ গ্রাম ও ম্যানকোজেব+ মেটালেক্সিল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমনঃ করমিল এম জেড/রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর পর্যায়ক্রমে ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২২ডিসেম্বর২০২০