পেঁয়াজ চাষের সহজ উপায়

344

দৈনন্দিন জীবনে পেঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রান্না-বান্নায় পেঁয়াজের বিকল্প কিছু নেই। তাই পেঁয়াজ কিনে খেতে হয়। যদি চাষ করার সুযোগ থাকে তাহলে কেনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আসুন তবে জেনে নেই পেঁয়াজ চাষের নিয়ম-
মাটিদো-আঁশ ও জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা দো-আঁশ। উর্বর, সেচ, পানি নিষ্কাশনসহ পিএইচ ৫.৮-৬.৫ থাকতে হবে। গভীর চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে।

রোপণরোপণের সময় সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার এবং পেঁয়াজ থেকে পেঁয়াজের দূরত্ব ১৫ সেন্টিমিটার হতে হবে।
বীজ১. কন্দ ১২০-১৫০ কেজি/বিঘা ২. বীজ ৪৫০-৫০০ গ্রাম/বিঘা ৩. বীজ ছিটালে ৮০০-১০০০ গ্রাম/বিঘা

সারএকবিঘা জমির জন্য ইউরিয়া ৩৫ কেজি, টিএসপি/ডিএপি ৩০ কেজি, এমপি ২০ কেজি, ফুরাডান ৫জি ৩ কেজি, মুক্তাপ্লাস ২ কেজি এবং গোবর ১.৫ টন। শেষ চাষের সময় সব গোবর, টিএসপি, অন্যান্য সার এবং ইউরিয়া, এমপি সারের অর্ধেক জমিতে সমানভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া, এমপি সার রোপণের ২৫ দিন এবং ৫০ দিন পর দুই ভাগ করে দিতে হবে। পিএইচের মাত্রা তিনের নিচে হলে চুন প্রয়োগ করতে হবে।

সেচমাটির অবস্থা ভেদে ১০-১৫ দিন পর পর সেচ প্রয়োজন। জলাবদ্ধতায় পেঁয়াজের ক্ষতি হয়
ছত্রাকগাছের বয়স ৪০-৪৫ দিন হলে রোভরাল প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম এবং রিডোমিল প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করে গাছ ভিজিয়ে দিতে হবে। এরপর ১৫ দিন পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৮সেপ্টেম্বর ২০২১