পেয়ারার মাছি পোকা
পোকা চেনার উপায়:
লালচে বাদামি মাছির ঘাড়ে হলুদ দাগযুক্ত রেখা আছে। পাখা স্বচ্ছ। পাখার নিচের দিকের কিনারায় কালো দাগ আছে। পেট মোটা, স্ত্রী মাছির পেছনে সরু ও চোখা ডিম পাড়ার সুঁইয়ের মতো নল আছে। ডিম সাদা নলের মতো এবং এক দিকে বাঁকা।
ক্ষতির ধরণ:
ক্রীড়া ছিদ্র করে ফলের ভিতরে ঢুকে ফলের মাংসল অংশ খেতে থাকে এবং ফল ভেতরে পচে যায়।
আক্রমণের পর্যায়:
বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায় ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : সব
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে: কীড়া
ব্যবস্থাপনা:
মাছি পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ উপায় হল ফলন্ত গাছে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ঝুলানো। পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক ( যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন।কীটনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পূর্ব-প্রস্তুতি:
ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোঁটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাঁটাই করে পরিস্কার করে দিন। পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন। নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
অন্যান্য:
পুরোপুরি পাকার আগে ফল তোলা। ফল ছোট থাকতেই ব্যাগিং করা বা পলিথিন দিয়ে প্যাচিয়ে দিন। ফল তোলার পর সেগুলো ৫% লবন পানিতে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩১মে২০