পোল্ট্রি’তে রাসায়নিক মুক্ত পণ্য উৎপাদন ও কিছু প্রসঙ্গ!

438

-ফার্ম পরিচালনায় নিজের লাভের কথা চিন্তা করে অন্যের ক্ষতি কাম্য নয় বটে! পূর্বেকার সময় জনসংখ্যা ছিলো বেশ কম, তখন গ্রাম গঞ্জে পারিবারিক ভাবে গৃহপালিত প্রাণী যেমন হাঁস মুরগী কবুতর পালন করে ডিম ও মাংসের চাহিদা মেটানো হতো, বর্তমানে ক্রর্ম-বর্দ্ধমান ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যা, বিপুল এই জনগুষ্টির দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে যে পরিমাণ ডিম মাংস প্রয়োজন- তাহা বর্তমান (আত্মা সামাজিক প্রক্ষাপটে) গ্রাম গঞ্জে উৎপাদিত পণ্য দিয়ে মেটানো সম্ভব নয়!

প্রেক্ষাপটঃ
বিজ্ঞানীদের বহু চেষ্টায়- আশির দশকের গোড়ার দিকে কৃষিতে ব্যপক বিস্তর বিপ্লব সংঘষ্টিত হয়- এরই ফলশ্রুতিতে পোল্ট্রি’তে প্রতিনিয়ত নুতন নুতন ব্রিড উদ্ভাবন! যাহার মূল মন্ত্র স্বল্প সময়ে অধিক পরিমাণে (ডিম ও মাংস) উৎপাদন, এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে কমার্শিয়াল ভাবে লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগী লালন হয়ে আসছে-

করণীয় বিষয়ঃ
অল্প সময়ের অধিক উৎপাদন করতে গিয়ে নিজের অজান্তে অন্যের ক্ষতি করে ফেলছি, যে-মন যতটা বিজ্ঞান সম্মত নয় তার চেয়েও কম সময়ে গ্রোথ আনার উদ্দেশ্যে ফিড তৈরীতে কিংবা ফার্ম পরিচালনায় অতিরিক্ত মাএায় ভিটামিন নামক রাসায়নিক ঔষধ ও অপ্রয়োজনীয় কিছু এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, দুঃখ জনক হলেও সত্যি মানব দেহের জন্যে যাহা মারাত্মক ক্ষতির কারণ বটে, উল্লেখ করা দরকার ফার্ম পরিচালনায় ঔষধ কোন সমাধান নয়, প্রয়োজন নিয়ম মেনে পরিচর্যাই একমাত্র প্রতিকার, তাই ঔষধের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নীয়ত মেনে ফার্ম

পরিচালনা করুণ!
বাজারজাত করণঃমনে রাখা প্রয়োজন মুরগী যত বড় হবে ততই সুস্বাদু ও নিরাপদ হবে নিঃসন্দেহে, তাই রেড়ী ব্রয়লার ২কেজী ও সোনালী মুরগী কমপক্ষে ১কেজী করে বিক্রি করা উত্তম এবং সেই সাথে কোন কারণে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার হলে কম পক্ষে ৫-৭ দিন পরে পন্য বাজারজাত করা উচিৎ এতে করে ফার্মে যেমন ব্যয় কমবে তেমনি আপনি হবেন লাভবাণ উপ-র দিকে উৎপাদিত হবে নিরাপদ পণ্য!

রপ্তানি করণঃ
উল্লেখ্য যে দেশে উৎপাদন ক্ষমতা যতটা বেড়েছে চাহিদা তা’থেকে অনেক কম যার দরুন কখনো কখনো পণ্য উদ্ধৃত থেকে যাচ্ছে প্রয়োজন অতিরিক্ত পণ্য বাহিরে রপ্তানি, কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি আমাদের উৎপাদিত পণ্য (মাংস ও ডিম) বিশ্ব বাজারেব এখনো মান সম্মত ভাবে বিবেচিত নয়! যার দরুন বহু চেষ্টা সত্ত্বেও বানিজ্যে (রপ্তানিতে) আমরা পিছিয়ে, যার অন্তরালেও রয়েছে রাসায়নিক ও এন্টিবায়োটিক মুক্ত
নিরাপদ পণ্য।

অতএবঃ পোল্ট্রি’কে প্রতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হলে একান্ত প্রচেষ্টা হওয়া উচিৎ নিরাপদ পোল্ট্রি পণ্য উৎপাদন- যাহা দেশের চাহিদা মিটিয়ে (অতিরিক্ত পন্য) বহিঃ বিশ্বে রপ্তানি প্রক্রিয় করণ, আর তাতেই বাঁচবে খামারি কমবে বেকারত্ব, মিটবে আঠারো কুটি মানুষের পুষ্টির ঘাটতি, দেশ অর্থ নীতিতে হবে সমৃদ্ধশালী।

মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ব্যবস্হাপনা পরিচালকঃ ব্রাদার্স পোলট্রি ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা।
দীর্ঘ দুই যুগ ধরে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত!

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৪সেপ্টেম্বর ২০২১