পোল্ট্রি উৎপাদক কোম্পানিগুলোর জন্য রয়েছে সুখবর! পোল্ট্রি এখন পোল্ট্রি’তেই সীমাবদ্ধ নেই! এটা এখন বিশালাকার এক শিল্প। বলা হয় গার্মেন্টস শিল্পের পর এর অবস্থান। অতএব এটি উৎপাদনে ভেবে চিন্তে অগ্রসর হওয়া জরুরি।
কিছু কথা ও করণীয়ঃ
* বাচ্চা ফিডের মূল্য বৃদ্ধিঃ সুযোগ হলেই মূল্য বৃদ্ধি যুক্তিক সিদ্ধান্ত নয় বরং খামারিদের কথা মাথায় রেখে একটু সুযোগ করে দেওয়া সমুচিন বটে! তাতে করে খামারিগন আশানুরূপ সাফল্য অর্জনে সক্ষম হন!
* বাচ্চা উৎপাদনে লক্ষ্য মাএা নির্ধারণ- মাএা অতিরিক্ত উৎপাদন সঠিক সিদ্ধান্ত নয়! এতে করে বাচ্চা ও রেড়ি মুরগী দর পতনের অধিকতর সম্ভবনা থেকে যায়! অতএব চাহিদা ও উৎপাদনে সমন্বয় ঘটানো।
* কমার্শিয়াল ফার্ম বন্ধ করণ! হ্যাচারী তথা বিডার্স ফার্মস কতৃক ব্রয়লার ও লেয়ার ফার্ম পরিচালনা দুঃখ জনক! কেননা এর দরুন খামারিগন তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত অতএব কমার্শিয়াল ফার্মস বন্ধ একান্ত জরুরি।
* সরকারি সুযোগ সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করণঃ সকল খামারিদের সরকারী সকল সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা প্রয়োজন, কেননা প্রান্তিক পর্যায়ে অনেক খামারি রয়েছেন এসবের বাহিরে, মনে রাখতে হবে খামারিরা এই সেক্টরে প্রাণ খামারি বাঁচলে শিল্প বাঁচবে অতএব এবিষয়ে সংসৃষ্ট অভিজ্ঞ মহলকে এগিয়ে আসা কাম্য বটে!
* প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধিঃ অনলাইনে যুগে নানামুখী বিরূপ প্রচারণা চলছে অতএব পোল্ট্রির ভালো দিকগুলো মাথায় রেখে প্রচারণা বৃদ্ধি করণ- তাতে করে ভোক্তাদের মাঝে দ্রুত আস্থা ফিরে আসবে।
এ-ই সামান্য কিছু নিয়ম নীতি অনুস্মরণ করলে পোল্ট্রি’র সুদিন ফিরে আসবে নিঃসন্দেহে, তা-না হলে খামারি ভোক্তা তথা সংসৃষ্ট সকলের মাঝে আস্থার সংকট রয়ে যাবে এবং শিল্প দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতির মূখে পরতে পারে যেটা কারোই কাম্য হতে পারে না।
স্মরনীয়ঃ
পোল্ট্রি এক সময়ে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হলেও আজ বিশালাকার এক শিল্প এর ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্রাকার কোম্পানিগুলো- গ্রুপ অফ কোম্পানিতে পরিণত এ-র মূলে আপনাদের চেষ্টা হলেও সাথেযুক্ত রয়েছে প্রান্তিক খামারিদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম! মনে রাখা দরকার আপনাদের বিলাসী জীবন- এসি রুম গাড়ি দেশ বিদেশ ভ্রমণ, বিশাল কনফারেন্স/সম্মেলন এর সুবাতাস কখনো এদের স্পর্শ করতে পারেনা সর্বদা থাকে এসবের বাইরে।
লেখাটি লিখেছেন-
মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্যবস্হাপনা পরিচালক ব্রাদার্স পোলট্রি ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭ফেব্রুয়ারি২০২১