পোল্ট্রি খাদ্যের অপচয় রোধ করার উপায়

178

বাংলাদেশে বেশির ভাগ খামারিরা সাধারনত মুরগির খামারের সাথে জড়িত। আর এই খামার করতে গিয়ে খামারিরা প্রধান যে সমস্যায় পড়েন। তা হলো খাদ্য সমস্যা।

খামারকে লাভজনক পর্যায়ে রাখতে হলে খাদ্যের অপচয় রোধে খামারীকে অধিক যত্নশীল হতে হবে। খামারে সরবরাহকৃত খাদ্যের অপচয় এড়ানোর লক্ষ্যে খাদ্যের পাত্র খাদ্য দ্বারা কখনই অর্ধেকের বেশি পূর্ণ করা যাবে না। অর্থাৎ খাদ্যের পাত্র খাদ্য দ্বারা পাত্রের অর্ধেক অংশ পূরণ সাপেক্ষে দিনে ৩-৪ বার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। এতে মোরগ-মুরগীর খাদ্য গ্রহনের ইচ্ছা বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্যের অপচয় অনেকাংশ রোধ হবে। খাদ্যের পাত্র বিভিন্ন মাত্রায় পূর্ণ করে গবেষণায় নিম্নলিখিত ফলাফল পাওয়া গেছে-

১। খাদ্যের পাত্র যখন খাদ্য দ্বারা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ করা হয়েছে তখন ৩০% খাদ্য নষ্ট হয়েছে।
২। খাদ্যের পাত্র যখন খাদ্য দ্বারা পাত্রের দুই তৃতীয়াংশ পূর্ণ করা হয়েছে তখন ১০% খাদ্য নষ্ট হয়েছে।
৩। খাদ্যের পাত্র যখন খাদ্য দ্বারা পাত্রের অর্ধেক পূর্ণ করা হয়েছে তখন ৩% খাদ্য নষ্ট হয়েছে।
৪। খাদ্যের পাত্র যখন খাদ্য দ্বারা পাত্রের এক তৃতীয়াংশ পূর্ণ করা হয়েছে তখন ১% খাদ্য নষ্ট হয়েছে।
৫। মুরগির খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করে থাকে।
৬। মুরগির খামারে খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।
এসব বিষয়গুলো মাথায় রেখে যখন কোনো খামারি খাদ্য ব্যবস্থাপনা করবে তখন পোল্ট্রি খাদ্যের অপচয় রোধ সম্ভব হবে।