এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আহকাব) আয়োজনে ‘পোল্ট্রি, ডেইরি এবং মৎস্য ফিডে হারবাল পণ্যের ব্যবহার’ শীষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর থাই চি রেস্টুরেন্টে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আইনুল হক, একেএম আলমগীর হোসেন-প্রেসিডেন্ট (আহকাব), ডা. মো. কামরুজ্জামান সেক্রেটারি জেনারেল (আহকাব) ডা. এম.এম খানসহ প্রায় ৭০টি পুষ্টিপণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
মাহবুব এর উপস্থাপনার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ডা. রাফিউল করিম। এরপর হারবাল পণ্যের ওপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন সবার সামনে তুলে ধরা হয়।
ভারত থেকে আগত বলরাম বাবু বলেন, এশিয়ায় ৫০০টির বেশি কোম্পানি হার্বাল পণ্যের ওপর কাজ করে যাচ্ছে। হারবাল পণ্য ব্যবহারে কোয়ালিটি অন্যান্য পণ্যের চেয়ে সর্বদা ভালো কাজ করে এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলাফল ও দাম সবকিছু মিলে হারবাল পণ্য আমাদের সেক্টরকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
এর পর একেএকে এলানকো বাংলাদেশ লিমিটেডে শরিফ মাহমুদ হাসান, ডক্টরস এগ্রোভেটের ডা. রাফিউল করীম , ডা. তুষার চৌধুরী, ডা. হালিম ডা. আবু সুফিয়ানসহ আরো অনেক বক্তব্য দেন।
সবার বক্তব্যে উঠে আসে হারবাল পণ্য আমাদের দেশের পোল্ট্রি , ডেইরি ও মৎস্য সেক্টরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে যেখানে খামারী, মালিক ভোক্তা সকলেই লাভবান হবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনুল হক বলেন, হার্বাল পণ্য নিয়ে আমাদের আরো গবেষণা জানতে হবে । যেহেতু এটি একটি ভালো উদ্যোগ, হারবাল পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
স্বাগত এবং সমাপণী বক্তব্যে ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, বেশ কয়েক প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে হারবাল পণ্য বাজারজাত করছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করতে আগ্রহী। তাই এই পণ্য সহজশর্তে যাতে বাজারজাত করা যায় সেজন্য আমরা DLS-এ সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তিনি আশা করেন সরকার DLS খুব দ্রুত হারবাল পণ্য পোল্ট্রি, ডেইরি এবং মৎস্য খাদ্যে ব্যবহারের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানটি মধ্যাহ্ণভোজের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন