দফায় দফায় খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, ডিম ও পোলট্রি মুরগি কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের পোল্ট্রি খামারীরা। খাদ্যের দাম প্রতি বছর বাড়ায় লোকসানে পড়েছেন তারা। ইতোমধ্যেই পুঁজি হারানোর ভয়ে একেবারেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন কয়েকশো পোল্ট্রি খামারি। পোল্ট্রি শিল্পকে বাাঁচিয়ে রাখতে প্রণোদনা চান খামারীরা।
লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ২’শ পোল্ট্রি খামার রয়েছে। গত ২ বছরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে মুরগীর বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডের দাম। সে তুলনায় বাড়েনি মাংস ও ডিমের দাম। ফলে লোকসানে পড়েছেনে খামারিরা। ডিম এবং পোল্ট্রি মুরগির কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় এরইমধ্যে লোকসানের বোঝা কাঁধে নিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার শতাধিক পোল্ট্রি খামার। ফলে, কর্মহীন হয়ে পড়ছেন খামার সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক।
খামারীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে বার বার বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। খামারগুলোতে মাংস ও ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে।
শ্রমিকরা বলেন, খাদ্যের দাম বেশি ও ডিমের দাম কম হওয়ায় কোম্পানি আমাদের বেতন দিতে পারেনা। আমরা এখন মানবেতর জীবন পার করছি।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: যোবায়ের হোসেন জানান, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে খামারিদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, কিন্তু খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান অবস্থা সরকারের উর্ধতন পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৭মে ২০২২