দফায় দফায় ফিডের মূল্য বৃদ্ধি, ডিলারদের কারসাজি, আড়ৎদারদের অপকৌশল/সিন্ডিকেট ও মিডিয়ায় নানা মুখী বিরূপ প্রচারণা- পোল্ট্রি শিল্পে অস্থিরতা বাড়ছে, ক্ষতির মুখে ছোট বড় বহু খামারি বাড়ছে বেকারত্ব, প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে কুটি কুটি টাকা।
ফিড উৎপাদক কোম্পানিগুলো- কাঁচা মালের দর বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২১ সালে- অনন্ত ৩বার ফিডের দর বৃদ্ধি পেলো, পক্ষান্তরে ডিম রেড়ী মুরগীর দর রয়েছে সেই পূর্বাস্হায়, এর সাথে ডিলারগন বাকীর অজুহাত দেখিয়ে ফিড বাচ্চা কিংবা ঔষধ বিক্রিতে বাড়তি মূল্য নিচ্ছেন- সাথে কেউ কেউ আবার রেডি মুরগী ও ডিম বিক্রিতেও নিজেদের ভাগ বসাচ্ছেন এরই সাথে পাইকারি আড়ৎদারগন সুযোগ বুঝে সময়ে অসময়ে ফাঁত পেতে বাজার অস্থির করে তুলছেন এ-সব কিছুর সাথে যোগ হয়েছে বিরূপ প্রচারণা- অনলাইনের যুগে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া- পোল্ট্রি সম্পর্কে সুরবিস্তার না জেনে, পোল্ট্রি’র ভালো দিকগুলো বাদ দিয়ে- নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে- বাড়াবাড়ি মূলক রিপোর্ট করে আসছে যাহার দরুন- শিল্পে মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
অনুতাপের বিষয়ঃ এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট ও নীতি নির্ধারনী তথা সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই বল্লেই চলে, যদিও অতীতে দেখেছি এই সেক্টরে বিপর্যয় আসলে- উৎপাদক কোম্পানি, ফিড বাচ্চার ডিলার, খামারিগন নিজ উদ্যোগ কিংবা সম্মিলিত ভাবে ব্যপক বিস্তৃত প্রচার প্রচারণা ও ইতিবাচক কিছু কৌশল অবলম্ব হতো যার মধ্যে থাকতো সভা সেমিনার মানব-বন্ধন মিছিল ও বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী কর্মসূচি।
উল্লেখ্য যে- পোল্ট্রি এদেশে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প এখানে ক্রর্ম-সংস্থান হয়েছে প্রায় কুটি মানুষের, বিনিয়োগ হয়েছে হাজার হাজার কুটি টাকা! জনবহুল এদেশে সস্তায় মিটছে পুষ্টির চাহিদা যার প্রেক্ষিতে উক্ত সেক্টরকে বাঁচানো এখন একান্ত অপরিহার্য আর তা না হলে অজান্তেই অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হবে নিঃসন্দেহে যাহা কারোই কাম্য নয় বটে!
অতএবঃ সরকার তথা পোল্ট্রি- সংশ্লিষ্টদের নিকট বিনিত অনুরোধ নিরবে থাকা নয় আসুন যার যার স্থান হতে সঠিক নীতি অনুস্মরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করি শিল্পটিকে সঠিক নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসি তবে সেক্টরের পাশাপাশি যেমন বাঁচবে তেমনি ক্রর্মসংস্হান হবে বহু মানুষের তেমন কমবে বেকারত্বের হার সাথে অর্থনীতিতে দেশ হবে সমৃদ্ধ।
Md Sirajul lslam
Brothers Poultry International
E-mail: [email protected]
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৮ আগস্ট ২০২১