সময়ের বৈরি আবহাওয়ার ফলে আমরা অনেক সময়েই সমস্যায় পড়ি। কিছু সমস্যা আছে যেগুলো আমাদের শুধু কষ্ট বা সাময়িক অস্বস্তি দিয়ে যায় আর কিছু আছে যা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করে থাকে।
যেমন কাল বৈশাখি ঝড়ে আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। আর শীতকালের তীব্র শীত আর গরমের প্রচন্ড গরম যে শুধু আমাদের জন্যই ক্ষতিকর তা নয়, তা আমাদের আশ্রয়ে পালন হওয়া গরু ছাগল, হাঁস মুরগী সবাই এর ভুক্তভুগী। তবে এদের মধ্যে বর্তমাণে বানিজ্যিক ভাবে পালন করা মুরগীর এই সমস্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
কয়েকদিন থেকেই পত্র পত্রিকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মুরগী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সুর্য্যের তাপমাত্রা বেশি আর পরিবেশের ভ্যাপসা ও অসনীয় গরমে তাদের মেটাবলিক হার বেড়ে যাচ্ছে। আর এত বেশি তাপমাত্রায় তাদের প্রধান অঙ্গ গুলো ভালভাবে কাজ করতে না পারায় মুরগী মারা যায়।
হিটস্ট্রোকের কারণঃ মানবদেহের সকল জৈবিক কার্যাবলী ঠিকমত সম্পর্ন হতে প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশের। আর এই পরিবেশের মধ্যে অন্যতম উপাদান হল তাপমাত্রা , চাপ ইত্যাদি। খুব কম তাপমাত্রা যেমন ভাল নয় ঠিক তেমনি বেশি তাপমাত্রা ও ভাল না। আর দ্রুত বর্ধনশীল মুরগীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা তো আরো অনেক গুন বেশি। তারা এমনিতেই খুব কাতর হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মুরপগীর কিডনি, হার্ট ,ফুসফুস কাজ করতে না পারার কারনে স্ট্রোক করে থাকে। গাদাগাদী করে থাকায় এবং পানির কোন ঘাটতি থাকলে এই প্রকোপ বেড়ে যায় অনেকংশে।
মুরগীর তাপমাত্রা অসহনীয় হয়েছে বোঝার উপায়ঃ
মানুষ তার গরম লাগার কথা বলতে পারে,কিন্তু মুরগী তা পারেনা।
তাই তাদের কিছু বৈশিষ্ট দেখে বুঝতে হয় ফ্লকের তাপমাত্রা বেড়েছে-পানির পাত্রের উপর মুরগি হুমড়ী খেয়ে পড়ছে।
মুরগী গুলো যেদিকে একটূ ঠান্ডা পরিবেশ পাচ্ছে তার দিকে ছুটে যেতে থাকবে।
পাখা গুলো এলিয়ে দিয়ে ঝিমিয়েও যেতে পারে।
মুরগীর হার্ট রেট ও শ্বাসরেট বেড়ে যায় অনেকাংশে।
পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব: ঘর্মগ্রন্থি না থাকার কারণে মোরগ-মুরগির অতিরিক্ত গরম অসহ্য লাগে। এতেউত্পাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত তাপে এদের পানি গ্রহণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে থাইরয়েড গ্রন্থিরআকার, রক্তচাপ, নাড়ির স্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়ামের সমতা, খাদ্য গ্রহণ, শরীরের ওজন ও ডিমের উত্পাদন হ্রাস পায়। ১৫ হতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসতাপমাত্রায় এদের উত্পাদন সর্বোচ্চ। ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রিতাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শতকরা ৪ ভাগ হারে পানি গ্রহণ বৃদ্ধি পায়। ২৪ ডিগ্রিসেলসিয়াস তাপমাত্রার পর হতে ডিমের সংখ্যা না কমলেও প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রাবৃদ্ধিতে ডিমের ওজন শতকরা এক ভাগ হারে কমে যায়। ২৬.৫ সেলসিয়াস ডিগ্রিতাপমাত্রার পর হতে মোরগ-মুরগির খাদ্যের রূপান্তর ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২৭ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপ বৃদ্ধিতে ২ হতে ৪ শতাংশ খাবার গ্রহণকমে যায়। ৩৬ হতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোরগ-মুরগির জন্য অসহনীয়এবং ৩৮ ডিগ্রির পর মৃত্যু হার খুব বৃদ্ধি পায়।
হিটস্ট্রোক এড়ানোর জন্য স্বল্পকালীন প্রস্তুতিঃ হিট স্ট্রোক যেহেতু পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হয়ে থাকে। আর তা হল প্রাকৃতিক কারণ। এতে যেমন আমাদের হাত দেয়ার ক্ষমতা থাকেনা, কিন্তু একটু ভালভাবে চেষ্টা করলে এর মারাত্বক প্রভাব থেকে মুরগীকে রক্ষা করা যেতে পারে। বেশি তাপমাত্রা থাকাকালীন সময়ে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
ফ্লকের তাপমাত্রা নিয়ত্রণের চেষ্টা করাঃ বাইরের তাপমাত্রা অনেক বেশি হলেও ফ্লকে মুরগীর জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রার ব্যবস্থা করা জরুরি। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যানের ব্যবস্থা করা। এবং ভিতরের গরম বাইরে বের করার জন্য এক্সিট ফ্যান ব্যবহার করতে হবে। যদি তাপমাত্রা খুবই বেশি দেখা যায় তাহলে টিনের ছাদ হলে তার উপরে পানি রাখার মত কিছু হলেও ব্যবস্থার মাধ্যমে এর তাপমাত্রা নিয়ত্রন করা। গাছের ডাল অথচা টিনের উপর খড়ের চালের ব্যবস্থা করা।
লক্ষ রাখতে হবে ফিড : এ সময় মুরগির ফিড গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। সেই কারণে দিনের নির্দিষ্ট বেশি গরমের সময় ব্রিডার লেয়ারের ক্ষেত্রে ফিড না দেওয়াই ভালো। শুধু পানি খাবে। দিনের ঠাণ্ডা সময় যেমন ভোর ও সন্ধ্যার পর ফিড দিতে হবে।
এ সময় খামারে দেওয়া ফিডে বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে, ফিডে যেন পুষ্টিমান সঠিক এবং বেশি থাকে। যেমন স্বাভাবিক ১০০ গ্রাম ফিডের পুষ্টি ৯০ গ্রাম ফিডে থাকতে হবে। সে কারণে ফিডে ব্যবহার করা প্রোটিনের ক্ষেত্রে অতি উচ্চমানের প্রোটিন ব্যবহার করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, এই প্রোটিনে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড মিথুনিন, লাইসিন ঘাটতি আছে কি না? যদি ঘাটতি থাকে তাহলে বাড়তি অ্যামাইনো এসিড মেশাতে হবে।
খামারে রেডি ফিড (পিলেট ফিড) ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফিডে অ্যামাইনো এসিড মেশানোর উপায় থাকে না। সে ক্ষেত্রে পানির মাধ্যমে তরল মিথুনিন যেমন রেডিমেড এটি-৮৮ পানিতে খাওয়াতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে এক থেকে দুই মিলিলিটার দিতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য অ্যামাইনো এসিডের ঘাটতি পূরণের জন্য অ্যামাইনো লাইটস এবং অ্যামাইনো এসিড ও শক্তি সরবরাহের জন্য অ্যামাইনো-১৮ পানির সঙ্গে খাওয়াতে হবে।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ : গরমের সময় রক্ত চলাচল দ্রুততর হওয়ার জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় ও কোনো কোনো সময় রক্ত জমাট হতে পারে। এই রক্ত জমাট হওয়াটাই হিটস্ট্রোক। এতে মুরগি মারা যেতে পারে। এ সময় এসপিরিন ও ভিটামিন-সিযুক্ত কোনো মিশ্রণ যেমন এন্টি স্ট্রেস প্রিমিক্স দিনের উষ্ণতম সময় যেমন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পানির মাধ্যমে খাওয়ালে হিটস্ট্রোকের পরিমাণ অনেক কমে যায়। এ ছাড়া ফিডেও ভিটামিন-সিযুক্ত প্রিমিক্স ব্যবহার করা যেতে পারে।
গরমের বাড়তি যত্ন : গরমে পোলট্রি খামারে বিশেষ যত্ন না নিলে ফ্লকে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এখনকার তাপজনিত ধকলে মুরগির দৈহিক ওজন কমে যাওয়াসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডিম উৎপাদন কমে যায় এবং মোরগ-মুরগির মৃত্যুও হতে পারে। এ সময় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
খামারে এক দিনের বাচ্চা আসার আগে পরিষ্কার ও ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে পানির সঙ্গে ভিটামিন সি, আখের গুড় অথবা ইলেকট্রোলাইটযুক্ত স্যালাইন পানির সঙ্গে দিতে হবে।
খামার শেডে বাতাসের অবাধ চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মুক্ত বাতাস শেড অভ্যন্তরের তাপমাত্রা শীতল রাখবে, সেই সঙ্গে অ্যামোনিয়াসহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের বিষক্রিয়াও মুক্ত রাখবে। শেডে সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি এগজস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।
শেডে মোরগ-মুরগি যেন আরামদায়ক পরিবেশে বাস করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। অহেতুক এদের বিরক্ত করা যাবে না। প্রতিটি বড় মুরগিকে এক বর্গফুটের অধিক জায়গা দিতে হবে।
অধিক রোদে টিনের চালা অতিরিক্ত গরম হলে দিনে দুই-একবার চালায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। টিনের চালার নিচে চাটাই, হার্ডবোর্ড দিয়ে শিলিংয়ের (চাতাল) ব্যবস্থা করতে হবে।
লিটার ব্যবস্থাপনাঃ শেডের চারপাশে সপ্তাহে দুবার চুন ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ব্রয়লার লিটার ভোর কিংবা রাতে ওলটপালট করে দিতে হবে।
খাবার পাত্র ও পানির পাত্রসংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে। পানির পাত্রে দিনে কমপক্ষে তিনবার পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।গরমের ধকলের কারণে মাইকোপ্লাজমা ও কলিব্যাসিলোসিস রোগের আক্রমণ বেড়ে যায়।সে কারণে এ সময় মুরগির স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষ করে ফিড ও পানিতে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই ব্যবহার করতে হবে।
গরমকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় শেডের মেঝেয় অনেক সময় লিটার দ্রুত ভিজে যায়। যার ফলে রোগ আক্রমণও বেশি হয়। সে কারণে লিটারে পাউডার চুন ব্যবহার করতে হবে। এ সময় ফিডের বস্তা খোলা রাখা যাবে না। কারণ বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে ফিডে ছত্রাক বা মোল্ড জন্মায়, যা পোলট্রি খাদ্যের উপযুক্ত নয়
তাপজনিত ধকল প্রতিরোধে করণীয়: খামারের আশে পাশে ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রোপণ এবং ঘর পূর্ব-পশ্চিমে হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় বায়োসিকিউরিটির কথা চিন্তা করেগাছপালা রোপণের প্রতি অনুত্সাহিত করা হয়ে থাকে। গরমে পোল্ট্রি শেডেপ্রত্যক্ষ সূর্যালোক পরা যাবে না। অত্যধিক গরম প্রতিরোধে প্রয়োজনে শেডেরছাদে/বা টিনের চালায় দিনে দু’তিন বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।টিনের নিচে চাটাই/হার্ডবোর্ড দিয়ে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক সময়মুরগি যখন হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় তখন ঘরে সেপ্র মেশিন দিয়েকুয়াশার মত করে পানি ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পানির ড্রিংকার ও ফিডারেরসংখ্যা বাড়াতে হবে। ঘন ঘন ড্রিংকারের পানি পাল্টাতে হবে। গরমে বাতাসেরআর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শেডের মেঝে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে হয়ে লিটারদ্রুত ভিজে যায়। ফলে রোগের আক্রমণও বাড়ে। সেজন্য প্রতিদিন সকালেব্রয়লার শেডের লিটার উলোট-পালোট করা প্রয়োজন। লিটারে গুঁড়ো চুন ব্যবহারকরলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। শেড হতে শেডের দূরত্ব ৩০ ফুটের অধিক হলে ভালহয়। শেডে মোরগ-মুরগির ঘনত্ব বেশি হলে তা কমিয়ে দিতে হবে। বাতাসের অবাধচলাচল শেডের ভেতরের তাপমাত্রা শীতল রাখতে সাহায্য করবে এবং পোল্ট্রির জন্যক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত রাখবে। শেডে স্টেন্ড ফ্যানের ব্যবস্থাকরতে হবে।
ঠান্ডা পানির সরবরাহ: ঠাণ্ডা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। যেহেতু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এদের খাদ্য গ্রহণ কমে যায়, সেহেতু প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ৮হতে ১০ ভাগ শক্তি কমিয়ে প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন বাড়িয়ে দিতে হবে।প্রতি লিটার পানিতে ১০-১২ গ্রাম গ্লুকোজ ও মুরগি প্রতি ১০ গ্রাম ভিটামিন সি পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিটেইনেধনাত্মক ও ঋনাত্মক আছে যা কোষের মধ্যে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে এরা রক্ষা পায়। গরমে পোল্ট্রির অ্যামাইনো এসিডেরচাহিদা বেড়ে যায়। বিটেইনে মিথাইল মূলক বিদ্যমান, যা মিথিওনিন ও কলিনেরঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। গরমে প্রয়োজনে একদিনের বাচ্চার জন্য পানিতে আখেরগুড়, ভিটামিন সি অথবা ইলেকট্রোলাইট যুক্ত স্যালাইন পানি দিতে হবে।
দীর্ঘকালীন পরিকল্পনাঃ সুষ্ট পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। আর আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে খামার এমন স্থানে স্থাপন করা দরকার যেন বৈরি আবহাওয়ায় ঐ স্থান সহায়ক হয়। শেডের চারপাশি কিছু গাছ লাগানো যেতে পারে, বিশেষত নিমের গাছ যেখান হতে বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়ার পাশাপাশি জীবানূদের ধ্বংস করতেও সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা করে শেড নির্মাণ করতে হবে (যারা নতুন করে করবেন)।
খামারীভাইদের এই সময়ে একটু বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। যেন হিটস্ট্রোকে মুরগী মারা না যায়। উপরের বিষয়গুলো খেয়াল করে মুরগীর যত্ন নিলে এর প্রকাপ অনেকাংশেই কমানো যাবে বলে আশাবাদী। এই সময় মুরগীর ভাল দাম পেয়ে লাভবাণও হওয়া যাবে দ্রুত।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮ জুলাই ২০২২