মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ জনাব গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। গত ১৬ই জুন ২০২৩ খ্রি. রাতে নিজ বাসভবনে জনাব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব পালনের সম্মতি প্রদান করে তাতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষার মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করা এবং বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।”
ফেডারেশন সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম মজনু বর্তমান কমিটির প্রারম্ভিক কাল থেকে ফেডারেশন তথা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য গাজী হাফিজুর রহমান লিকু-কে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। মহাসচিব মীর মোঃ মোর্শেদুর রহমান জানান, “স্মার্ট, উন্নত-সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে ফেডারেশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।” তিনি আরও বলেন, “ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব পালনের সম্মতি প্রদান, ফেডারেশনের ভূমিকাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। যা ফেডারেশনের জন্য একটি মাইলফলক। এ জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষকের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
ফেডারেশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম বলেন, “ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টা আমাদেরকে ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যপীড়িত কর্মচারীদের আন্দোলনে পাশে থাকা ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর নিজের ছাত্রত্ব ত্যাগ করার ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে বৈষম্যপীড়িত কর্মকর্তাদের অভিভাবক হয়ে জনাব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু জাতির পিতার আদর্শের যোগ্য অনুসারী হিসেবে আবারো প্রমাণ করলেন।” তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যমুক্ত নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কার্যক্রম আরও বেগবান করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
সাক্ষাতকালে ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মোঃ মাসুদুর রহমান, ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও চবি সধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী, সহ-সভাপতি ও বাকৃবি সভপতি মোঃ খাইরুল আলম (নান্নু), সহ-সভাপতি এম. তাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি তারেক মো. রাশেদ উদ্দিন, যুগ্ম-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম হিরা, যুগ্ম-মহাসচিব মো. আলতাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. ফখর উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ববি সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক অরুন কুমার বালা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও ইআবি সভাপতি মোঃ শামীম হোসেন খান, আইন সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম উজ্জল, কুবি সভপতি মোঃ আবু তাহের, পবিপ্রবি সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জুয়েল, পাবিপ্রবি সভাপতি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ড. সালাউদ্দিন, নোবিপ্রবির সাধারণ সম্পাদক মেজবাউদ্দীন পলাশ, মাভাবিপ্রবি সাধারণ সম্পাদক ড. ইকবাল বাহার বিদ্যুৎ, পাবিপ্রবি সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ হোসেন, ববি সাধারণ সম্পাদক ডা. তানজিন, নির্বাচন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, জাককানইবি ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার রাধেশ্যাম, রাবির কামরুজ্জামান চঞ্চল, সঞ্জীব রায়, শেহাবি-র টুম্পা চক্রবর্তী এবং বিভিন্ন পবিলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সহ কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ ও দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।