বাংলাদেশে ছোট বড় অসংখ্য ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং বর্তমানে প্রায় ১ কোটি মানুষ এই ফিড সেক্টরের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের বর্তমান পরিসংখ্যান ঠিক এমনটিই বলছে। হাঁস-মুরগী ও গবাদি পশুপালন বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ও গ্রামীণ জীবিকার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
এদিকে গত ২ দশকে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু এবং মাছের খামারগুলো বিশেষত্ব অর্জন করেছে। এই বিপুল চাহিদার কারণে গত এক দশকে বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য উৎপাদন শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকার ফিড ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের স্বার্থে বিশেষ অবদান রাখছে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও চালু করেছে। ফিড ইন্ডাস্ট্রিগুলো একদিকে যেমন বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টির ঘাটতি দূরীকরণের চেষ্টা করছে তেমনি অধিকসংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। ইউটিউব ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ চোখে পড়ল একটি ভিডিওতে।
মূলত ভিডিওটির প্রথমভাগই আমার দেখার আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলছে। দেখতে পেলাম দুইজন খামারির সফলতার গল্প। এরপরই ক্রমান্বয়ে জানতে পারলাম এর প্রতিষ্ঠাকাল, উৎপাদন প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে ডেলিভারি সিস্টেম পর্যন্ত। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি কয়েকজন সফল খামারি এবং পরিবেশকও এই ফিড ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের সন্তোষজনক বার্তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখেই বুঝতে পারলাম এখানে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এবং রয়েছে মন জুড়ানো কিছু শট। ভিডিওটির নির্মাতা স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ফেসবুক ঘেটে বের করলাম এর নির্মাতা মো. মহিউদ্দিন মোস্তফাকে। ধন্যবাদ জানালাম তাকে এ চমৎকার এ কাজটির জন্য। কন্টাক্ট নাম্বার চাওয়ার সঙ্গেই সেটিও দিয়ে দিলেন।
এরপর মুঠোফোনে কথা হলো করপোরেট ফিল্মটির নির্মাতার সঙ্গে। তিনি জানান, দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রমোশনাল কাজ করা সত্যিই গর্বের বিষয়। তারা দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও আমরা ভিডিওটিতে বাংলাদেশের ফিড সেক্টরের উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় আমরা তুলে ধরেছি। ভবিষ্যতে এরকম আরো ভালো কাজ করতে চাই।
ভিডিওটি থেকে আরো জানতে পারলাম, বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পুষ্টির ঘাটতির দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আশির দশকে যাত্রা শুরু করে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্ট (এআইটি) এবং এটিই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ফিড উৎপাদন শুরু করে। গাজীপুরের শফিপুরে প্রায় ৯ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে এর সুবৃহৎ ফ্যাক্টরি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি পোল্ট্রি, ফিশ এবং ক্যাটল ফিড উৎপাদন করছে। করপোরেট ফিল্মটি মহিউদ্দিন মোস্তফার পরিচালনায় এবং অ্যাডভারটাইজিং কোম্পানি ‘ফিল্ম ক্যাসল ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১১জুন২০