খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমাদের দেশে বরাবরই প্রান্তিক চাষিরা ধানের ন্যায্যমূল্য পায় না এবং পাবেও না। কারণ প্রান্তিক কৃষকরা ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কাঁচা অবস্থায় বিক্রি করে দেয়। আর পরবর্তীতে এর সুফল পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন আমন সংগ্রহ ২০১৯-২০ কার্যক্রম উপলক্ষে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও চালকল মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে উদ্বৃত্ত খাদ্যশষ্য উৎপাদিত হওয়ায় এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে বিদেশে চাল রফতানি করা হচ্ছে। এ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশে রফতানি করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অন্যান্যবারের চেয়ে বোরো মৌসুমের সরকারিভাবে বেশি পরিমাণে চাল ক্রয় করা হয়েছে এবং চলতি আমন মৌসুমে আরও বেশি চাল সংগ্রহ করা হবে।
এ মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মোছা. নাজমানারা খানম, পরিচালক (সংগ্রহ) জুলফিকার রহমান, রংপুরের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবির, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশ্রাফুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ