প্রেগন্যান্ট গাভী ক্রয়ে সতর্কীকরণ বিষয়

295

সাধারনত দেখা যায় অনেকদিন ধরে কনসিভ করেনা এমন সমস্যাযুক্ত গাভীকে কোনভাবে কনসিভ করায়ে সাথে সাথে বিক্রি করে দেয়। আপনি আমি না বুঝে কিনে এনে পরবর্তী সময়ে একই সমস্যায় পড়ি। বিক্রেতা বেশীর ভাগ সময় দেখবেন ৯ মাসের গাভীন গরু বিক্রি করে। এর কারন একটাই আপনাকে সহজে ধোকা বা বোকা বানানো যায় যখন গাভী প্রেগন্যান্ট থাকে বিশেষ করে ৮-৯ মাসের সময়।

এই সময়ে গাভীকে দৈহিক গঠনে অনেক বড় দেখায়। ক্রেতাতো দেখে ভাবে এত বড় গরু! আর এই সময়ে আপনাকে নানান গল্পও দেয়া যায় যেমন: আগের বিয়ানে ২৫ লিটার দুধ হয়েছিল, এবার ৩০ হবে নিশ্চিত। বিশ্বাস করলেনতো ধরা খেলেন। আপনাকে গাভী বাচ্চা দিয়েছে অন্ততপক্ষ্যে ১৫-২০ দিন এমন গাভী দেখে কিনতে হবে। সামনে দাড়ায়ে দুধ চেক করে তারপর নিবেন।

এই রকম নানান ধোকাবাজী আর সমস্যায় পড়ে একজন খামারী লোকসান দিয়ে নিস্ব হয়ে পড়ে। তাই নিজেকে জাত উন্নয়ন করে নিতে হবে ভাল জাতের সিমেন ব্যবহার করে। ভাল সিমেন বা বীজ মানে ১০০% তা নয়। সর্বাধিক খেয়াল দিবেন যে বুল বা ষাড়ের বীজ দিচ্ছেন তার কোয়ালিটি কেমন। মানে ষাড়ের পরিবারে মা দাদী নানী, বোন এদের দুধের রেকর্ড কেমন। এই রেকর্ড ভাল হলে আপনার গাভী থেকে যে বাচ্চা আসবে তার থেকে ভাল দুধ পাবেন। ফেসবুকে ছবি দেখে কোনদিন বোঝা যাবেনা কোন গাভী বা কোন বাচ্চা ভবিষ্যতে কেমন দুধ দেবে বা পারসেন্ট কত।

অনেকেই আমাদের নিকট প্রেগন্যান্ট গাভী কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু কলাদহ এগ্রো ফার্ম লিঃ এপর্যন্ত কোন প্রেগন্যান্ট গাভী করো নিকট বিক্রি করেনি বা আগ্রহ দেখায়নি। তার অন্যতম কারণ উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। দুধের নিশ্চিত একটা পরিমাণ না জানা পর্যন্ত কলাদহ এগ্রো ফার্ম লিঃ কোন গাভী বিক্রি করেনা।

ধন্যবাদান্তে
কলাদহ এগ্রো ফার্ম লিঃ এর পক্ষ থেকে আমি বাহারুল ইসলাম
খামারের নাম ও ঠিকানা-
কলাদহ এগ্রো ফার্ম লিঃ
গ্রামঃ মালাকুচা, উপজেলাঃ শ্রীবরদী, জেলাঃ শেরপুর।
জয়েন্ট স্টক কোম্পানী বাংলাদেশ এর রেজিস্ট্রেশন নং- সি133567/2016;
ট্রেড লাইসেন্স নং- 109

ফার্মসএন্ডফার্মার/২০অক্টোবর২০