ফার্ম ব্যবসায় লাভবান হতে চাইলে যা করবেন

294

ইদানীং অনেকই বলছেন বহু চেষ্টা শ্রম ঘাম দিয়ে ফার্ম করে কোন লাভের মূখ দেখছেন না, এর মূলে রয়েছে খাদ্য, বাচ্চা ঔষধসহ সকল উপকরণের দর অসাভার্বিক বৃদ্ধি- পক্ষান্তে উৎপাদিত পণ্য যেমন ডিম রেড়ী মুরগী ও দুধের দাম তুলনামূলক বেশ কম এর সাথে যোগ হয়েছে বাকীতে ব্যবসা পরিচালনা, এক অনুসন্ধানে দেখা যায় দেশের প্রায় ৯০℅ ফার্ম বাকীতে পরিচালিত হয়ে আসছে ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ খামারি লাভের মুখ দেখছেনা প্রতিনিয়ত পড়ছেন লোকসানের মুখে, প্রক্ষিতে পুঁজি হারিয়ে দিনে দিনে হচ্ছে ফার্ম বন্ধের উপকম!

উদাহরণঃ আপনি ১,০০০টি রেড়ী ব্রয়লার মুরগীর ব্যাচে করতে চাচ্ছেন? সেখানে বাকীতে আনুমানিক অতিরিক্ত ব্যয় বাচ্চা প্রতি ৩= করে ১,০০০×৩= ৩,০০০/= খাদ্যে আনুমানিক ৬০ব্যাগ প্রতি ব্যাগে ১৫০×৬০= ৯,০০০/= এবং ঔষধে ১,০০০= সর্ব মোট ১৩,০০০= তের হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে, সেখানে ব্যাচ যদি হয় ২,০০০/৩,০০০ তবে ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে দুই তিন গুন।

অভিমতঃ প্রন্তিক খামারিদের প্রথমেই বলবো বাকীতে নয় নগদে ব্যবসা পরিচালনা করুণ লাভবান হবেন নিঃসন্দেহে, কেউ কেউ বলছেন ১২৫= দরে মুরগী বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন না অথচ ১২০= নিচে মুরগী বিক্রি করে অনেকে ভালো মুনাফা করছেন এর মূল কারণ নগদ বাকীর শুভঙ্করের ফাঁকি, বলা চলে মুদ্রার এপিট ওপিঠ একদিকে লাভ আর অন্য দিকে লোকসানের ক্ষতিয়াণ ভারী।

করণীয়ঃ অনেকে বলছেন আর্থিক সমেস্যা রয়েছে? তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নগদে ব্যবসা করা সম্ভবপর নয়! তবু্ও তাদের বলবো ইচ্ছে থাকলে অসম্ভব বলতে কিছু নেই, কেননা বাকীতে বিশালাকার ফার্ম না করে বরং সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট ফার্ম পরিচালনা করুণ দেখবেন বড় ফার্মের লাভ আপনার এই ছোট ফার্ম দিয়েই পুষিয়েছে।

মূল বিষয় হলোঃ বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলক বাজার ব্যবস্হায় ফার্ম ব্যবসায় লাভবান হতে চাইলে বাকীকে অবশ্যই না বলতে হবে এবং নগদে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে হবে আর তাতেই অল্প দিনেই সফলতা আসবে, সেই সাথে আপনার ছোট্ট ফার্মটি দিনে দিনে পরিণত হবে বৃহৎ এক কমার্শিয়াল ফার্মে, পরিশেষে আপনার স্বর্ণাদিনের প্রত্যাশা রইলো।

পরিচিতি: মো: সিরাজুল ইসলাম,
ব্যবস্হাপনা পরিচালকঃ ব্রাদার্স পোলট্রি ইন্টারন্যাশনাল, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৬মার্চ ২০২২