এ রোগ ফিউজেরিয়াম ইকোইজিটি ও অলটারনেরিয়া প্রজাতির ছএাক এবং আরউইনিয়া কেরোটোভোরা নামক ব্যাকটেরিয়া সম্মিলিত ভাবে এ রোগ সৃস্টি করে। এ রোগের কারণে ফুলকপির সমস্ত ফুল নষ্ট হয়ে যায় বা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়।
রোগের লক্ষণঃ (১) ফুলকপির কার্ডে প্রথমে বাদামী রং এর গোলাকৃতি দাগ দেখা যায় পরে একাধিক দাগ মিশে বড় দাগ সৃষ্টি করে। (২) ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে কার্ডে দ্রুত পঁচন ধরে নষ্ট হয়ে যায়। (৩) আক্রান্ত কার্ড বা মাথা থেকে খুব কম পুষ্পমুঞ্জরী বের হয় এবং ইহা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।
প্রতিকারঃ (১) সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। (২) প্রোভ্যাক্স বা কার্বেণ্ডাজিম প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে বীজ শোধন করতে হবে। (৩) ইপ্রোডিয়ন এবং কার্বেণ্ডাজিম ছত্রাক নাশক প্রতিটি আলাদা ভাবে ০.২ % হারে মিশে ১২-১৫ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। তবে ঔষধ প্রয়োগের ৫ দিন পর্যন্ত ফসল তোলা যাবে না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন না:
১. একই জমিতে বার বার কপি জাতীয় ফসল চাষ করবেন না
২. আক্রান্ত ক্ষেতে থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন:
১. বপনের আগে প্রতি কেজি বীজে ২-৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করে নিন।
২. লাল মাটি বা অম্লীয় মাটির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রয়োগ করুন (প্রতি তিন বছরে একবার)
ফার্মসএন্ডফার্মার/০১ডিসেম্বর২০২০