অনেক সময় গাভীর বাচ্চা প্রসবের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুল পড়ে না এবং এসব ক্ষেত্রে গর্ভ ফুলের অংশবিশেষ বাইরের দিক হতে ঝুলে থাকে। অনেক সময় এটা স্বাভাবিক ভাবে আর বের হয়ে আসেনা। এটাকেই ফুল আটকে যাওয়া বলে।
এই গর্ভফুল যদি ভিতরেই থেকে যায় তবে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গাভীর জরায়ূর অভ্যন্তরে ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়। এই ইনফেকশন বা প্রদাহের কারণে গাভীর দেহে নানান শরীরবৃত্তীয়জটিলতা দেখা দেয়। প্রদাহজনিত কারণে গাভী খাদ্যগ্রহন কমিয়ে দেয় এবং তার দুগ্ধ উৎপাদন কমে যায় এবং পরবর্তীতে তার প্রজনন হ্রাস পাওয়ার ফলে প্রজননে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এক কথায় বলা যেতে পারে গাভীর দুগ্ধ উৎপাদন এবং প্রজনন
স্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা থাকে।
গাভীর গর্ভফুল আটকে যাওয়ার সমস্যাটি কি কারণে ঘটে?
এক কথায় বলা যেতে পারে ভিটামিন, ক্ষনিজ এবং হরমোনের তারতম্য জনিত সমস্যার কারণে এটা হয়ে থাকে। তাহলে গাভী পালন করার সময় গাভীর জন্য যে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তাতে যথাযথ পরিমাণে ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ এবং মিনারেলস বা ক্ষনিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করা খামারীদের জন্য বাঞ্ছনীয়। এছাড়া গাভীর স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
গাভীর ফুল আটকে গেলে কি করবেন?
এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের সহায়তায় আটকে যাওয়া গর্ভ ফুল অপসারণ করে গাভীকে তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দিবেন। অন্যথায় পরবর্তীতে গাভীর উপরোল্লিখিত সমস্যাগুলি হতে পারে।
চিকিৎসা ও প্রতিকারঃ
১। অকসিটোসিন
২। ইউটোসিল পেশারিস
৩। এ্যান্টিবায়েটিক
এক্স ইনজেকশন ইত্যাদি দ্বারা ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুযায়ী চিকিৎসা দিবেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৬মার্চ২০