ভারতের ভেংকিস ফিডস এইচভি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে ৭০ জন কাঁচামাল সরবরাহকারীর প্রায় ১৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা করছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ বকেয়া পরিশোধের কথা থাকলেও তা না করে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডস। গতকাল বুধবার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে পাওনাদার ২৪টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এগ্রো কনসার্ন, তুর করপোরেশন, সততা ট্রেডার্স, যুথি ট্রেডার্স, বিএস এগ্রো ট্রেডিং, পিকে এন্টারপ্রাইজ, কাজী এগ্রো লিমিটেড, ইনোভেট বিডি, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স, এপিএল, নিউট্রিভেট লিমিটেড, জেএনএস টেকনোলজি, নিউ পাবনা ট্রেডিং, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ, সেঞ্চুরি এগ্রো লিমিটেড, ইয়ন গ্রুপ, ভৈরব এন্টারপ্রাইজ, সানশাইন এগ্রো, মেসার্স মা খোদেজা ট্রেডার্স, মাহিন এগ্রো, এম্পেল এগ্রো, টোটাল কার্গো ম্যানেজমেন্ট ও সিগমা বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার তুর করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী পল্লব সমীর ও কুদরত-ই-খোদা ব্রেজনেম বলেন, উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডস ২০১১ সালে এ দেশে ব্যবসা শুরু করে। যশোরের মনিরামপুরে তাদের দুটি কারখানা আছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে সারাদেশের ৭০টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তাদের দুটি কারখানার মধ্যে একটি ভাড়া দিয়ে উপার্জিত অর্থে যাবতীয় খরচ ও ব্যাংকের পাওনা নিয়মিত পরিশোধ করছে। কিন্তু সরবরাহকারীদের বকেয়া পরিশোধ করছে না।
সততা ট্রেডার্স ও যুথি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডসের কাছে আমার দুটি প্রতিষ্ঠানের পাওনা প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে তাগিদ দিয়ে পাওনা আদায় করতে পারছি না। প্রতিষ্ঠানটি বকেয়া পরিশোধ না করেই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। আমার মতো আরও অনেক সরবরাহকারী বিপাকে পড়েছেন। পাওনা পরিশোধে দুই দেশের সরকারপ্রধান, বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভারতের হাইকমিশনের হস্তক্ষেপ চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এগ্রো কনসার্নের স্বত্বাধিকারী জাহিদুর রহমান, বিএস এগ্রো ট্রেডিংয়ের আশরাফুল আলম, পিকে এন্টারপ্রাইজের দিপা রানী নাথ প্রমুখ।
সূত্র: সমকাল
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৯আগস্ট২০