বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে মাছ চাষি ভাইদের করণীয়

170

বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে মৎস্য সেক্টরেও নজিরবিহীন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বানভাসী মানুষের ঘরবাড়ি ও সম্পদের ক্ষতির সাথে তাদের কৃষিজমি ও মাছের পুকুর বা ঘের ভেসে যাওয়ায় এ ক্ষতি হয়তো অনেকে সঠিকভাবে নিরূপন করতেও পারছেন না। কারো পুকুরে পাড় ভেঙ্গে গেছে, কারো পুকুর তলিয়ে গেছে, কারো মাছ বেরিয়ে গেছে। তবে যাদের বড় মাছ ছিল বা বিক্রয় উপযোগী মাছ ছিল তাদের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। এ সময় নতুন করে পোনা মাছ মজুত করে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠা খুব সহজ নয়। তারপরও নতুন করে জেগে উঠার জন্য বন্যা পরবর্তী প্রয়োজনীয় কিছু টিপস এখানে দেয়া হলো-

বন্যাকালীন মৎস্য খামারে করণীয়
# বন্যার পূর্বেই খামারের চারপাশে পলিস্টার জাল ও বানা দিয়ে ভালোভাবে বেড়া দিতে হবে।
# বিক্রি উপযুক্ত মাছ যথাসম্ভব ধরে বিক্রি করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
# বন্যার সময় মাছকে নিয়মিত খাবার দিতে হবে।
# বন্যার পানির রোগ জীবাণু প্রতিরোধে শতাংশ প্রতি ৩০০ গ্রাম হারে জিওলাইট এবং মাছের প্রতি কেজি খাবারের সাথে ০.৫০ গ্রাম রেনামাইসিন ০৭ দিন ধরে দিতে হবে।
# বন্যার পানি যদি বেশি হয়, তবে দ্বিগুণ প্রস্থের জাল দ্বারা বেড়া দিতে হবে।
# বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে, বস্তায় খাবার ভরে খুটি সাথে ১-২ ফুট পানির নিচে মাঝে মাঝে খাবার স্থাপন করতে হবে। তাহলে খাবারের লোভে খামারের তো যাবেই না বরং বাহির হতে মাছ খামারে প্রবেশ করবে।

বন্যা পরবর্তী মৎস্য খামারে করণীয়
# বন্যা চলে যাবার সাথে সাথে খামারে শতাংশ প্রতি ০.৫ কেজি চুন এবং ২৫০ গ্রাম হারে জিওলাইট প্রয়োগ করে পানি শোধন করতে হবে।
# জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য ও মজুদের পরিমান যাচাই করতে হবে।
# মজুদের পরিমান কম হলে পুন:মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
# খামারে রাক্ষুসে মাছ প্রবেশ করলে তা যথা সম্ভব দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক অফিস, সিলেট।