বন টেপারি বা ফটকার পরিচিতি

2741

বন টেপারি বা কপাল ফুটকি বা ফটকা একটি বর্ষজীবী বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। পতিত জমিতে, ক্ষেতের পাশে, উঁচু জায়গায়, রাস্তার পাশের পতিত জমিতে কিংবা ফসলের জমিতে আগাছা হিসাবে জন্মে থাকে। গাছটি ৩০-৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গাছটি মেক্সিকো, উত্তর আমেরিকা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ বিভিন্ন দেশে দেখা যায়।

ইংরেজিতে একে Gooseberry, Pygmy ground cherry বলে। Solanaceae গোত্রের উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম Physalis minima.

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বন টেপারির পাতাগুলো নরম ও মসৃণ, রোমযুক্ত নয়। এর পাতা অনেকটা ডিম্বাকার, অগ্রভাগ সুচালো, কিনারা খাঁজকাটা। পাতা দুই থেকে আড়াই সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ফুল হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। এটি বেগুনের মতো কাণ্ডের কক্ষ থেকে বের হয়। ফলের বৃতি লম্বা হয়ে ফলটিকে ঢেকে রাখে। তখন এটিকে দেখে অনেকটা লাটিমের মতো মনে হয়। শিশুরা এটিকে তুলে ফটকার মতো ফুটিয়ে আনন্দ লাভ করে। ফলগুলো পাকলে লাল হয়। টক মিষ্টি স্বাদযুক্ত। ফলের ভিতর অনেকগুলো বীজ থাকে। ফল পাকার পর মাটিতে ঝরে পড়ে।

বন টেপারি শুধু আগাছা নয় এর কিছু ঔষধি গুণও আছে। উইকিপিডিয়া অনুসারে বন টেপারি বলবর্ধক হিসাবে কাজ করে। এর পাতা মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। নিয়মিত সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়।

কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ আলম শাইন বলেন, এটি আগাছা জাতীয় উদ্ভিদ। বসতবাড়ির পতিত জমিতে, জমির আইলে, রাস্তার ঝাড়ে অযত্নে বেড়ে উঠে। খুব প্রয়োজন না পড়লে এ জাতীয় উদ্ভিদ কাটা উচিত নয়। নতুবা এক সময় এগুলো হারিয়ে যেতে পারে।
সূত্র: bdway24.com

ফার্মসএন্ডফার্মার/২০জুন২০