বরিশালে চাষি পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

397

[su_slider source=”media: 4258,4259,4260″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

বরিশাল থেকে বিশেষ প্রতিনিধি: চাষি পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (২য় পর্যায়, প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপি এক আঞ্চলিক কর্মশালা আজ নগরীর খামারবাড়িস্থ ডিএই সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। পাথরঘাটার (বরগুনা) উপজেলা কৃষি অফিসার শিশির কুমার বড়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরিশালের উপপরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সালেহউদ্দিন, ডিএই অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক তুষার কান্তি সমদ্দার, হিজলার উপজেলা কৃষি অফিসার তাপস কুমার পাল, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) প্রশিক্ষক মারজিন আরা মুক্তা প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ডাল-তেল-পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রকল্প হতে চাষিদের যেসব সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা যেনো সঠিকভাবে ব্যবহার হয়। কৃষক পর্যায়ে উৎপাদিত এসব মানসম্পন্ন বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণের মাধ্যমে সারা দেশে সম্প্রসারিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আমদের দেশের ক্ষুধা দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা ও উন্নত পুষ্টি সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর উন্নত পুষ্টি যোগানের ক্ষেত্রে ডাল, তেল, পেঁয়াজ যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। মধু চাষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরিষার সাথে মৌমাছি চাষ করলে আমরা শুধু মধুই পাব না, এর পাশাপাশি অন্যান্য ফসলের পরাগায়নেও ভূমিকা রাখবে। এতে ফসল উৎপাদন বেড়ে যাবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলে ডাল, তেল, পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কর্মশালায় প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপনের পাশাপাশি ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে কৃষকসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বারি, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, বিএডিসি, এসআরডিআই, বিনা, এটিআই, হর্টিকালচার সেন্টার’র বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৭ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।