বর্ষাকালীন আগাম চারা উৎপাদনে কৃষকদের করনীয়

920

বর্ষাকালীন চারা উতপাদন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য ও হ্রাসমান বা অল্প জমি থেকে সল্প সময়ে অধিক ফলন, মুনাফা লাভ এবং অধিকসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানে আগাম সবজী চাষের কোন বিকল্প নেই। তাই বর্ষাকালে আগাম সবজী চাষ কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন একটি যথোপযোগী কর্মকান্ড। এই কর্মকান্ডকে সফল করতে হলে আগাম সবজী চাষের জন্য বর্ষাকালে আগাম সুস্থ সবল চারা উৎপাদন অতিব জরুরী। তাই কৃষক ভাইদের বর্ষাকালীন চারা উৎপাদনে অধিক যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

চারার অধিক যত্ন:
বর্ষাকালীন চারা উৎপাদন কালে বেডের চারিপাশের নিষ্কাশন নালাটি একটু গভীর করে তৈরি করতে হবে এবং বেডটি অবশ্যই মেইন জমি হতে ১৫ সে:মি: উচু করে তৈরি করতে হবে এবং এই সময় (১মে থেকে জুন/জুলাই মাস পর্যন্ত) আমাদের দেশের আবহাওয়া থাকে খুবই বিরুপ। তাই বীজতলায় চারা উৎপাদনে অবশ্যই টানেল অথবা চাটাই এর ছাউনি তৈরি করে চারাকে অধিক খড়া ও ঝড় বৃষ্টি হতে রক্ষা করতে হবে।

গোড়াপঁচা বা ঢলে পড়া রোগ:
স্কেলোরিশিয়াম রোলফিজি নামক ছএাক দারা এই রোগটি হয়ে থাকে।

লক্ষণ:
✴মাটি ভিজা থাকলে গাছের গোড়ায় ছএাকের সাদা মাইসেলিম ও সরিষার দানার ন্যায় স্কেলোরিশিয়াম দেখা যায়।
✴গাছ আক্রান্ত হলে ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়।
✴রোগাক্রান্ত গাছটি নেতিয়ে পড়ে এবং চারা মাটি থেকে সমান জায়গায় কালো হয়ে মরে যায়।
✴রোগটি খুবই দ্্রত ছড়ায়। চারা দেখে মনে হয় চারা গুলো শুয়ে পড়েছে।

প্রতিকার:
✴শুস্ক ও জো অবস্থায় চাষ আবাদ করতে হবে।
✴অধিক পরিমানে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে।
✴এই ক্ষেত্রে বীজ বপনের পূর্বে কার্বেন্ডাজিম ৫০ ডাব্লিউ পি প্রতি কেজি বীজে ২ গ্রাম মিশিয়ে শোধন করে নিয়ে বীজ বপন করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭মে২০