বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লায় সেমিনার অনুষ্ঠিত

146

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রেখে পতিত জমিগুলোকে আমরা চাষের আওতায় আনবো। এর আগে বছরের শুরুতেই সকল গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি সহ কৃষি বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান একসাথে কর্মপরিকল্পনা তৈরী করতে হবে। কুমিল্লা অঞ্চলে আউশ, আমন ও বোরো এ তিন মৌসুমেই ধানের আবাদ হয়। তাই এলাকা উপযোগী অধিক ফলনশীল ধানের জাত নির্বাচন করে শস্যবিন্যাস বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। পতিত জমি সনাক্ত করে চাষের আওতায় এনে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে কৃষি পন্য বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব। কুমিল্লা অঞ্চলে ধানের টুংরো ও ব্লাষ্ট রোগের আক্রমন বেশী হয়। তাই এখানে এসব রোগ প্রতিরোধী ধানের জাত চাষ করাই উত্তম। তিনি আরো বলেন, যে কোন সফল আবাদ করে কাঙ্খিত ফলনের জন্য সেচ একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সেচ বাস্তবায়ন করতে হবে।

ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির আওতায়, আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার হল রুমে একটি সেমিনারে মহাপরিচালক প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন। এ সসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে। সভাপতিত্ত্ব করেন এবং ব্রি কুমিল্লার কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন, ব্রি কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ব্রি কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মামুনুর রশিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ব্রি, কুমিল্লার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এ কে এম সালাহ্উদ্দিন।