কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বাগেরহাটে দেশীয় পদ্ধতিতে ৪০ হাজার পশু মোটাতাজা করন করা হয়েছে। মেীসুমী এ ব্যবসায়ে সল্প সময়ে বেশি লাভ করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তবে কৃষি বিভাগের তদারকি ও নজরদারীর কারণে অধিকাংশ খামারী এবার স্বাস্থ্য সম্মতভাবে দেশিও পদ্ধতিতে এই মোটাতাজা কারন কাজ সম্পন্ন করেছে।
বেশি লাভের আশায় ইতিপূর্বে খামারিরা পশুর শরীরে অতিরিক্ত মাংশল ভাব আনতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড গ্রুপের ডেক্সান, পিরিয়াকটিন নামের ওষুধ এর ব্যবহার করতো। তবে এবার বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট এখনও জমে উঠেনি। ফলে বিক্রেতাদের মনে অজানা অতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিস্তীর্ণ চারণভূমি আর পশু পালনের উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় বাগেরহাটের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যবসায়িকভাবে কোরবানির পশু পালন করা হয়। আর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ জেলায় দেশীয় পদ্ধতিতে পশু মোটাতাজাকরণের জন্য সুনাম রয়েছে। ব্যবসায়ীরা কোরবানির ঈদ এর ৪/৫ মাস আগে জেলার দেশীয় গরু স্বল্প মূল্যে কিনে মোটাতাজাকরণের উদ্যোগ নেয়। এর জন্য ব্যবসায়ীরা কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, ভুষি, খুদ এর নাস্তা, সয়াবিনের খৈল, ধুঞ্চের বিচি ইত্যাদি খাবার হিসেবে ব্যবহার করে।
কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য বাগেরহাটে দেশিয় পদ্ধতি ব্যবহার করে ৪০ হাজার পশু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই পশু এবার জেলার চাহিদা পুরন করতে সক্ষম বলে জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তাগন আশাবাদী। পশু মোটাতাজাকরণে অপদ্রব্য রুখতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বিভিন্ন টীমে জেলার বিভিন্ন এলাকা ও হাট-বাজার নজরদারীতে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকমস/এম