বাচ্চার অবস্থা দেখে হ্যাচারীর সমস্যা নির্ধারণ ও সমস্যা সমাধান

390

টার্কি ও সোনালী মুরগীর বদৌলতে আজ ঘরে ঘরে হ্যাচারী দেখতে পাওয়া যায়। এইসব হ্যাচারী সুষ্ঠভাবে ম্যানেজমেন্ট করার জন্য ও কোয়ালিটি সম্পন্ন বাচ্চা উৎপাদনের জন্য যেটুকু জ্ঞান প্রয়োজন তা ৮০% হ্যাচারী মালিকের নেই। একপ্রকার টেকনিক্যাল নলেজ ছাড়াই অটোমেটিক মেশিনের উপর নির্ভর করে দেশের অলিতে গলিতে গড়ে উঠছে এইসব হ্যাচারী।

ফলাফল যা হবার তাই হচ্ছে। কাঙ্খিত শতাংশে হ্যাচ না পাওয়া, কোয়ালিটি সম্পন্ন বাচ্চা উৎপাদন করতে না পারা, আর্লি মর্টালিটি সহ বিভিন্ন সমস্যায় অনেক টার্কি ও সোনালী হ্যাচারী বন্ধ হবার উপক্রম। হ্যাচারীর কাঙ্খিত প্রোডাকশন ও বাচ্চার কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে অটোমেটিক মেশিনের উপর নির্ভর না করে টেকনিক্যাল নলেজ আছে এমন ব্যক্তির তত্ত্ববধানে হ্যাচারী পরিচালনা করা উচিৎ।

নিচে বাচ্চার কিছু অবস্থা বর্ননা করা হলো যা দেখে হ্যাচারীর সমস্যা নির্ধারন করা যায় ও সমস্যা সমাধানে সেই-মত কাজ করা যায়।

সমস্যাগুলো_নিম্নরূপ
১. সঠিক সময়ের আগে হ্যাচ হওয়া।
২. হ্যাচ হতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সময় লাগা।
৩. কম ওজনের বাচ্চা উৎপাদন হওয়া (ডিমের ওজনের ৬৭% এর কম ওজনের বাচ্চা উৎপাদন হওয়া)।
৪. বেশী ওজনের বাচ্চা উৎপাদন হওয়া (ডিমের ওজনের ৬৭% এর বেশী ওজনের বাচ্চা উৎপাদন হওয়া)।
৫. বাচ্চার পাখাতে অবস্থিত পালকগুলো আগেই বিকশিত হয়ে যাওয়া।
৬. পালকের বর্ন হলুদের পরিবর্তে সাদাটে হওয়া।
৭. বাচ্চার দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়া।
৮. বাচ্চার চাঞ্চল্যতা কম থাকা। ঝিমুনি বা শারীরিক দূর্বলতা নিয়ে জন্ম নেয়া।
৯. বাচ্চার পা শুষ্ক, খসখসে হওয়া।
১০. বাচ্চা সোজা হয়ে দাড়াতে না পারা। দুই পা দুই দিকে ছড়িয়ে দিয়ে দাড়িয়ে থাকা।
১১. বাচ্চার হাটুর অংশটিতে লাল বর্ন ও ক্ষত সৃষ্টি হওয়া।
১২. বাচ্চার পা হালকা হলুদ বর্নের পরিবর্তে নীল বা সবুজ বর্নের হওয়া।
১৩. বাচ্চাতে নাভী তন্তু বিদ্যামান থাকা।
১৪. বাচ্চার নাভীর অংশে ব্লাক বাটন বা কালো অংশ থাকা।
১৫. বাচ্চার নাভীমুখ খোলা থাকা। নাভীমুখে রক্ত লেগে থাকা।
১৬. বাচ্চার শরীরে ডিমের খোসা লেগে থাকা।
১৭. বাচ্চার পায়ু ভেজা থাকা।
১৮. ডিমের ভিতর বাচ্চা সঠিক পজিশনে না থাকা।
১৯. বিকলাঙ্গ বাচ্চা উৎপন্ন হওয়া।
২০. ডিমের ভিতর বাচ্চার ভ্রুন মারা যাওয়া।

এই সমস্যাগুলো হ্যাচারীগত। বাচ্চাতে এমন সমস্যা থাকলে তা শতকরা প্রোডাকশন ও বাচ্চার কোয়ালিটি হ্রাস করে থাকে। সুতরাং অধিক প্রোডোকশন ও কোয়ালিটি সম্পন্ন বাচ্চা উৎপাদন করতে চাইলে এই সমস্যাগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৫ফেব্রুয়ারি২০২১