ক্যানসার-প্রতিরোধী ডিম পাড়ে এমন মুরগি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। জিনগতভাবে পরিবর্তিত মুরগির মাধ্যমে কম ব্যয়বহুল এই ডিমে রয়েছে বাতরোগ ও ক্যানসার-রোধী ওষুধ। এই ওষুধ কারখানায় প্রস্তুতে যে খরচ পড়ে, মুরগির মাধ্যমে তা উৎপাদনের খরচ ১০০ গুণ কম।
এ ব্যাপারে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, বাণিজ্যিকভাবে ওষুধ উৎপাদনের পর্যায়েও নেয়া সম্ভব হবে এই ডিমকেন্দ্রিক প্রকল্প। এডিনবার্গের রোজলিন টেকনোলজিসের ডা. লিসা হেরন বলেন, জিনগতভাবে পরিবর্তিত এসব মুরগি কোনো কষ্ট পায় না। খুবই দক্ষ কর্মীরা দৈনন্দিন এসব মুরগির দেখভাল করছেন।
তিনি দাবি করেন, ‘‘মুরগির কোনো ভাবলেস নেই। এগুলো শুধু সাধারণভাবে ডিম পাড়ছে। কোনোভাবেই তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়ছে না।’’
উল্লেখ্য, বর্তমানে যেসব ওষুধ উপলভ্য রয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অথচ, এই বিশেষ মুরগির তিনটি ডিম থেকেই এক ডোজ ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব। আর প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৩০০টি ডিম পাড়ে একটি মুরগি। ফলে মোট উৎপাদন ব্যয় কারখানায় উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে ১০০ গুণ কম।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন