বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ গরু-ছাগলের চিকিৎসা দিবে হাবিপ্রবির ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক!

460

Annotation 2020-02-14 001659

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মু. আবুল কাসেম বলেন,‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমি বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এটি তার মধ্যে অন্যতম। ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক একটি নতুন ধারণা। মানুষ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু পশু-পাখির জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেই। সেই চিন্তা থেকেই এই ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের উদ্যোগ নেয়া হলো। এখানে সার্জারির ব্যবস্থাসহ উন্নত সেবার সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এটি কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে অসুস্থ পশু পাখির চিকিৎসাসেবা দেবে।’

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি হাসপাতালের সামনে এ ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের উদ্বোধনকালে এসব কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম।

উপাচার্য বলেন, ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষক ও খারারিরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষক সেবাকেন্দ্র, হ্যাচারি, ডেইরি ও পোলট্রি ফার্মের উদ্বোধন করা হয়েছে মুজিববর্ষের শুরুতেই। কৃষক সেবাকেন্দ্র এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমি নিজেও কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ফসলি জমি পরিদর্শন করেছি।

অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম আরও বলেন, মৎস্য হ্যাচারি থেকে এ অঞ্চলের খামারিরা উন্নতমানের মাছের পোনা সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ও পোলট্রি ফার্ম থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকারের উন্নয়ন ও ধারাবাহিক সহযোগিতায় এসব সম্ভব হয়েছে।

উদ্বোধনী কার্যক্রম হিসেবে ভেটেরিনারি ক্লিনিককে নিয়ে যাওয়া হয় দিনাজপুরের রামডুবির বীরগা গ্রামের ফুলবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে আনিছুর রহমান নামে স্থানীয় এক কৃষকের একটি গরুর ঝংকা (আপওয়ার্ড প্যাটেলার ফিক্সেশন) রোগের অপারেশনসহ তিনটি গরুর বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে গরুর সার্জারি করে রেজিস্ট্রার ডা. মো. ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন ভেটেরিনারি সার্জনদের একটি দক্ষ দল। স্থানীয় কৃষকরা এ উদ্যোগকে মহৎ বলে অভিহিত করেছেন। হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।

কৃষকরা বলেন, মানুষের কথা তো সবাই ভাবে। পশু-পাখির কথা কজন ভাবে। এ ধরনের সেবা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া উচিত।

কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। আমি অভিভূত। এ ধরনের কিছু হবে কখনও ভাবিনি। এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা রোগাক্রান্ত গরুকে কম দামে কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেই। এখন থেকে চিকিৎসা করাব। আর বিক্রি করব না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার ডা. মো. ফজলুল হক, এগ্রিকালচার অনুষদের ডিন ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক ড. শ্রীপতি সিকদার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ড. তাহেরা ইয়াসমিন, হিসাব শাখার পরিচালক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন খান, প্রক্টর ড. মো খালেদ হোসেন এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. ইমরান পারভেজ প্রমুখ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩ফেব্রু২০২০