প্রাচীন ফল হিসাবে যতোগুলি ফল পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম সৌদি খেজুর। অতান্ত সফলতার সাথে পূর্ব ও উত্তর আফ্রিকার দেশসমূহ, ইরাক, মিসর, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, আলজেরিয়া, সুদান, ওমান, লিবিয়া ও তিউনেশিয়া, চীন, ভারত ও আমেরিকার কিছু অংশে সফলভাবে খেজুর চাষ করা হয়।
বাংলাদেশে খেজুর চাষ করা হয় মূলত রস ও গুড় তৈরির কাজে। দেশি জাতের খেজুর গাছে যে পরিমাণ ফল ধরে তা উন্নত মানের নয়, তাই ফল হিসেবে খাওয়ার তেমন প্রচলন না থাকলেও এখন অনেকেই এই খেজুরের চাষ করে সফল হয়ে উঠছেন।
পবিত্র রমজান মাসে সৌদি খেজুর দিয়ে ইফতারি করার প্রচলন বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহর রেওয়াজ আছে। সব মুসলিম প্রধান দেশ প্রচুর খেজুর আমদানি করার পাশাপাশি নিজেদের উৎপাদন থেকে চেষ্টা করে রমজান মাসে প্রচুর খেজুরের চাহিদা পূরণ করতে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয় না।
আধুনিক সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও পরাগায়নে সক্ষমতার হার শতভাগ নিশ্চিত করলে খেজুর গাছ থেকে প্রচুর ফলন পাওয়া যায়। আপনার যদি সঠিক চাষ পদ্ধতি, পরিচর্যা ও রক্ষনাবেক্ষণ জানা থাকে তাহলে ছাদবাগানে ঠিক শখের বশে লাগানো খেজুর গাছ থেকে রমজান মাসে এমনকি বছরব্যাপী নিজ পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারবেন।
উপযোগী পরিবেশ ঃ দিনের পুরো সময় রোদ পড়ে, কম আর্দ্রতাবিশিষ্ট, শুকনা ও কম বৃষ্টিপাতপ্রবণ, উষ্ণ আবহাওয়া এই ফল চাষের জন্য উপযোগী। যদিও এরা বেশি শীত, সাময়িক জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে।
মাটিঃ পানি নিকাশের সুব্যবস্থাসম্পন্ন বেলে-দো-আঁশ মাটি এ জাতের খেজুর চাষের জন্য বেশি উপযোগী। চারা রোপণের আগে ছাদের আয়তন বুঝে ৬*৬*৩ ঘনফুট আয়তনের বেড অথবা বড় ড্রামে সমপরিমাণ জৈব সার/গোবর ও বেলেমাটি দিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।
জাত ও চারা সংগ্রহঃ যেহেতু তাল ও লটকন গাছের মতো খেজুরের পুরুষ-স্ত্রী গাছ আলাদাভাবে জন্মায়। এজন্য বীজ থেকে তৈরি গাছে প্রাকৃতিকভাবে নতুন জাতের সৃষ্টি হলেও সেই চারায় প্রকৃত জাতের গুণাগুণ থাকে না। তাছাড়া ফল ধরতেও বেশি সময় লাগে, ফলের পরিমাণ ও মান আশানুরূপ হয় না। আপনাকে স্থানীয় হটিকালচার সেন্টার অথবা অনলাইনে greeniculture থেকে সুস্থ ও ভালো জাতের পুরুষ চারাগাছ ও স্ত্রী চারাগাছ সংগ্রহ করতে হবে।
বংশবিস্তার পদ্ধতিঃ আরব দেশগুলোয় আগে কান্ড থেকে গজানো সাকার বা চারা সংগ্রহ করে কিংবা বীজের চারা দিয়েও বাগান করার প্রচলন ছিল। এতে চারা কম পাওয়া যেত। আবার বীজ থেকে তৈরি চারার গাছে প্রায় ৬ বছর সময় লাগে ফল আসতে। বর্তমানে টিস্যুকালচার পদ্ধতির সাহায্যে উন্নত জাতগুলোর থেকে কলম তৈরি করা হচ্ছে। কান্ড থেকে প্রাপ্ত চারা ও টিস্যুকালচারের মাধ্যমে প্রাপ্ত চারায় প্রকৃত গুণাগুণ বজায় থাকে এবং রোপণের ৩ বছর পর থেকেই গাছে ফুল ও ফল ধরা শুরু হয়। ফলের মান ও ফলন ভালো হয়।
মাটি তৈরিঃ পর্যাপ্ত জৈব সার মাটি তৈরি শেষে এক সপ্তাহ রোদে রেখে তাতে খড়কুটা দিয়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিলে মাটি শোধন হয়ে যাবে। খেজুর চারা রোপণের আগে যেসব সার ও উপাদান মিশানো প্রয়োজন তা হলো মোটাবালু (সিলেট স্যান্ড) ১০%, ভিটে মাটি বা বেলে দো-আঁশ মাটি ৩০%, পচা গোবর/ আবর্জনা পচা সার ৪৫%, কোকোডাস্ট ৫%, কেঁচো সার ৫%, হাড়ের গুঁড়া ১ কেজি, ইউরিয়া-১৫০ গ্রাম, টিএসপি-২০০ গ্রাম, এমওপি-২৫০ গ্রাম। এছাড়াও জিঙ্ক সালফেট, ম্যাগসালফেট, ফেরাস সালফেটে ও বোরন- প্রতি গাছে ৫০ গ্রাম করে মোট ২০০ গ্রাম মেশাতে পারেন। এসব একত্রে মিশিয়ে বেড বা ড্রামপূর্ণ করে পানি দিয়ে কয়েক দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। দুই সপ্তাহ পর তা গাছ রোপণের জন্য উপযোগী হবে।
চারা রোপণঃ পানি নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত অপেক্ষাকৃত উঁচু প্রচুর আলো-বাতাস পায় এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে। বেডে একাধিক চারা করতে চাইলে ২০ ফুট দূরত্ব রেখে আরেকটি গাছ লাগাতে পারেন। খেজুরের চারার গোড়ার মাটি উঠিয়ে অর্থ্যাৎ মধ্যভাগ উঁচু করে দিয়ে বাইরের দিক ঢালু করে নামিয়ে দিতে হবে। তাহলে গোঁড়ায় পানি জমে থাকবে না।
পরিচর্যা
ক) বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে। খরা মৌসুমে নিয়মিত গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। গাছের বৃদ্ধি, উন্নত ফলন, প্রয়োজনীয় পানি দেওয়া ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।
খ) গাছ রোপণ করে সোজা রাখার জন্য কাঠি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে।
গ) শুকনা মৌসুমে গাছের গোড়ার চারধারে খড়, লতাপাতা বা কচুরিপানা দিয়ে মালচিং দিতে হবে। এতে মাটির রস সংরক্ষিত থাকে এতে ঘন ঘন পানি দেয়ার প্রয়োজন হবে না। গাছের গোড়ার চারদিক আগাছামুক্ত থাকবে, লতা-পাতা পচে জৈবসার হিসেবে কাজ করবে।
ঘ) গাছ বড় হলে উপরের ঊর্ধ্বমুখী গাছের পাতা রেখে দিয়ে নিচে ঝুলে পড়া পুরনো মরা পাতাগুলো কান্ডের গোড়া থেকে ৭-৮ ইঞ্চি ছেড়ে ছেঁটে অফলন্ত ফলের ছড়া ও ফুল-ফলের শক্ত ঢাকনা সাবধানে সরিয়ে ফেলতে হবে। কাটা অংশে সাথে সাথেই ছত্রাকনাশক বা বোর্দমিক্সার পেস্ট করে দিতে হবে।
ঙ) শুকনো পাতা কেটে দিতে হবে। বছরে একবার ফল সংগ্রহ শেষে নিচের দিকে ঝুলে পড়া বয়স্ক অপ্রয়োজনীয়, শুকনো পাতা কেটে দিতে হবে। গাছের গোড়া ও কাণ্ড থেকে গজানো শাখা বাড়তে দিলে কিন্তু গাছের ফল দান ক্ষমতা কমে যায়। তবে চারা সংগ্রহে রাখতে চাইলে গোড়ার কাছাকাছি গজানো কিছু সাকার রেখে বাকি সাকারগুলো নিয়মিত ছেঁটে দিতে হবে।
চ) সংগৃহীত চারা বেশি ছায়ায় থাকলে রোপণের পর সূর্যের তাপে ঝলসে যায়। তাই, রোপণের প্রথম ১০-১৫ দিন উত্তর-পূর্ব দিক উন্মুক্ত রেখে পাতলা ছালা দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক ভালোভাবে ঢেকে দিয়ে গাছকে হালকা ছায়ায় রাখা প্রয়োজন। আরেকটি উপায় আছে তা হল, ১৮ ইঞ্চি মাটির টবে পটিং মিডিয়া/ মাটি তৈরি করে আধছায়ায় ২-৩ মাস সংরক্ষণ বাগানে রোপণ উপযোগী করে তুলতে পারেন।
সার প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা
সৌদি খেজুর গাছে ৪ মাসের ব্যবধানে নিয়মিত সার প্রয়োগ করা উচিত। তাহলে, গাছ ভালোভাবে বাড়বে, বেশি ফল দানে সক্ষম হবে। নারিকেল, সুপারির মতো এরা পামগোত্রীয় বলে পটাশ সার খুব পছন্দ করে। বিভিন্ন বয়সের গাছের জন্য সার
প্রয়োগ ব্যবস্থাপনা-
প্রতি বছরের জন্য নির্দেশিত মোট পরিমাণ সারগুলো ৩ কিস্তিতে –
১) মে-জুন মাসে,
২) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে,
৩) ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে
৪) ১ বার করে মোট ৩বার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
এছাড়াও অনুখাদ্যউপাদান হিসেবে- জিঙ্ক সালফেট, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, ফেরাল সালফেট ও বোরন ও আইরোল বছরে ১বার করে গাছের বয়স বিবেচনা করে ২০০-৩০০ গ্রাম করে প্রয়োগ করা দরকার। সার প্রয়োগ করার পরপরই ভালোভাবে পানি দিতে হবে। অথবা পানিতে গুলে যায় এমন সার প্রয়োগ করতে পারেন।
গাছের গোড়া ছেড়ে যে অংশে শিকড় ছড়ায় সে অংশে গাছের শিকড় যেন কম আঘাত করে সার প্রয়োগ করতে হবে। মিশ্র সার ব্যবহার করতে পারেন।
গাছের প্রথম অবস্থায় তুলনামূলকভাবে নাইট্রোজেন জাতীয় সার বেশি প্রয়োগ দরকার পড়ে। ফুল-ফল ধরা আরম্ভ করলে পটাশ ও ফসফরাসের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
রোগ ও পোকা দমন
ক) নারিকেল, তাল ইত্যাদ পাম জাতীয় ফলগাছের মত খেজুর গাছেরও শিকড়ের অগ্রভাগ নরম ও মিষ্টি। তাই উঁইপোকাসহ মাটিতে অবস্থানকারী বিভিন্ন পোকা ও নেমাটোডের উপদ্রব বাড়ে। এসব দমনে দানাদার কীটনাশক ও তরল কীটনাশক যেমন- ইমিডাক্লোরোপিড/ডার্সবান ব্যবহার করবেন।
খ) রাইনোবিটল, রেডপাম উইভিল, স্কেল পোকার উপদ্রব বেশি দেখা দিলে বাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে ইমিডাক্লোরোপিড/ক্লোরোপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ২-৩ সপ্তাহের ব্যবধানে কচি পাতা ও পাতার গোড়ার অংশ ভালোভাবে স্প্রে করবেন।
গ) মাইট/মাকড়ের উপদ্রব দেখা দিলে ২-৩ সপ্তাহের ব্যবধানে মাইট/ মাকড়নাশক ব্যবহার করবেন।
ঘ) মাটিতে অবস্থানকারী ছত্রাক, প্রুনিং করার কারণে ক্ষত স্থানে রোগ এবং গজানো পাতার পুরো অংশে কাল-বাদামি দাগ পড়া রোগ খেজুর গাছে বেশি দেখা যায়। এজন্য ম্যানকোজেভ/কার্বোন্ডাজিম বা বোর্দমিক্সচার দিয়ে ছত্রাকনাশক দিয়ে ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে নিয়মিত পাতা, কান্ড ও মাটিতে স্প্রে করবেন।
পরাগায়নঃ খেজুর গাছের পুরুষ ও স্ত্রী গাছ আলাদাভাবে জন্মে। সুস্থ, বড় ও ভালো মানের ফল উৎপাদনের জন্য পর-পরাগায়ন ভালো ফলাফল দেয়। ফুটন্ত স্ত্রী ফুলের ছড়া বের হওয়ার সাথে সাথে পুরুষ গাছের পরাগরেণু দিয়ে সময় মতো পরাগায়ন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সুস্থ সবল বড় আকারের পুরুষ ফুল দানে সক্ষম এমন গাছ থেকে পুরুষ ফুল সংগ্রহ করে সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। সেগুলোকে দুই বছর পর্যন্ত পরাগায়নের কাজে ব্যবহার করা যায়। তবে তাজা পরাগ রেণু ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
সৌদি খেজুর গাছে জানুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল ফুটে। উভয় প্রকার ফুলের কাঁদি একটা শক্ত আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে। আবরণের ভেতরে ফুল বড় হয়ে পরাগায়নের উপযোগী হলে বাইরের আবরণটা আস্তে আস্তে ফাটা শুরু হয়। এ অবস্থায় পুরুষ ফুলের কাঁদির আবরণ অপসারণ করে নিবেন। তারপর হালকা রোদে শুকিয়ে নিয়ে সাবধানে পরাগ রেণু আলাদা করবেন। এরপর কাগজে মুড়িয়ে তা পলিথিন কভার দিয়ে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে সংরক্ষণ করতে পারেন।
স্ত্রী গাছের ফুলের কাঁদি বড় হয়ে বাইরের শক্ত আবরণে ফাটল ধরা আরম্ভ করলে তা পরাগায়ন করার উপযোগী হয়। এ সময় ফাটল ধরা শক্ত আবরণ ধারালো ছুরি দিয়ে অপসারণ করে ছড়ার ভেতরের অংশ বের করে নরম তুলি বা ব্রাশ দিয়ে সামান্য পরিমাণ পরাগ রেণু দিয়ে স্ত্রী ফুলে এ পরাগ রেণুতে হালকাভাবে ছুয়ে বা ঝেড়ে দিতে হয়। এ ছাড়া পুরুষ ফুলের দু-একটা ছড়া স্ত্রী ফুলের আগায় বেঁধে রাখতে হয়। পরাগায়ন করা ফুলের ছড়া পাতলা ব্রাউন কাগজের ঠোঙা দিয়ে হালকাভাবে ঢেকে দিতে হয়। এর ৩-৪ সপ্তাহ পর আবরণটা সরিয়ে ফেলতে হয়। পরাগায়নকালে ছড়ার কাছাকাছি খেজুরের ছুঁচালো কাঁটাগুলো সিকেচার দিয়ে অপসারণ করে নিলে কাঁটার আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বাগানে পুরুষ ও স্ত্রী ২গাছ রাখলে বাতাস ও মৌমাছি বা উপকারী কীটপতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন নিশ্চিত হয়। এতে ৬০-৮০% পর্যন্ত ফল ধরানো সম্ভব।
ফল সংগ্রহঃ খেজুর ফল ধীরে ধীরে বড় হওয়া আরম্ভ করলে তা ফলের ভারে ঝুলে পড়ে। এ ফলন্ত ছড়া পাতার ডগায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফল বড় হতে বাধা সৃষ্টি করে, তাতে ফলন কমে যায়। খেজুর ফলের থোকা যেন অবাধে আংশিকভাবে ঝুলতে পারে এজন্য কাঁটা পরিষ্কার করে দিয়ে ফলকে অবাধে বাড়তে দেয়া দরকার। খেজুরের ভারে একেকটা কাঁদি যেন ভেঙে না পড়ে এজন্য কাঁদির ফুল ধরা শুরু অংশে হালকাভাবে দড়ি বেঁধে দিয়ে ফলের কাঁদিকে উপরের ডালায় বেঁধে দিলে ভেঙে যাওয়া বা বেশি ঝুলে পড়া রোধ হয়।
ঘন মশারি দিয়ে ঢিলা ব্যাগ তৈরি করে ফলগুলোকে ঢেকে রাখলে মাছি পোকা ও পাখির উপদ্রব থেকে ফলকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
পরাগায়ন করার ৩-৪ মাস পর খেজুর ফল সংগ্রহের উপযোগী হয়। কতগুলো জাতের পুষ্ট কাঁচা-পাকা ফল উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়।
ফল পাকলে বাদামি/গাঢ় বাদামি/কালো রঙ ধারণ করে। উত্তম ব্যবস্থাপনায় জাতভেদে একটা সুস্থ সবল গাছ থেকে বছরে ৭০-৩০০ কেজি খেজুর ফল পাওয়া সম্ভব। পরাগায়নের পর ৭-১০টা সুস্থ সবল কাঁদি রেখে অবশিষ্ট কাঁদিগুলো শুরুতেই অপসারণ করলে বেশি আকর্ষণীয় বড় আকারের ফল পাওয়া যাবে।
আশা করছি আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে ছাদবাগান থেকে অপরিহার্য পুষ্টি আহরণে সক্ষম হবেন।
তথ্যসূত্রঃ গ্রিনি কালচার
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৯জুলাই২০