অনেকের বাড়ির ছাদেই থাকে ছোট-বড় ফুলের বাগান। সেখানে নানান প্রজাতির ফুলের বাহারি রং মনকে প্রফুল্ল জোগায়। তবে ছাদেই যদি থাকে একটা বিশাল জলাশয়! সেখানে সাঁতরে বেড়ায় হরেক প্রজাতির মাছ। তাহলে, বিষয়টি একটু ব্যতিক্রমই বটে।
ভারতের আসামের হাতিগাঁও এলাকার বাসিন্দা অমরজ্যোতি কশ্যপ। তিনি একজন পরিবেশ বিজ্ঞানী। অমরজ্যোতি নিজের দোতলা বাড়ির ছাদের একাংশে তেমনই এক অবাক কাণ্ড করে বসেছেন। ছাদেই করছেন মাছের চাষ। সঙ্গে বাগানও।
একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার অমরজ্যোতির মতে, শহুরে এলাকায় যেখানে জায়গাজমির অভাব, সেখানে এভাবে মাছ চাষ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এমন একটা আস্ত জলাশয়ের মালিক শুধু ৫০ হাজার টাকা খরচ করলেই হওয়া যায়। এতে শহুরের সৌখিন মানুষরা অতিরিক্ত আয়ের সুযোগও সৃষ্টি করতে পারেন।
অমরজ্যোতি শোভা বর্ধনের বিষয়ে বলেন, ব্যবসায়িক বিষয় ছাড়াও বাড়ির শোভা বাড়াতে বা স্রেফ রিল্যাক্স করতেও এই জলাশয়ের জুড়ি নেই। পুরো ছাদের মধ্যে হাজার বর্গফুট জায়গায় আমার জলাশয়। ১৪ ফুট বিস্তৃত, ২৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট গভীর। এখন গোল্ডেন কার্প মাছ চাষ শুরু করছি। এছাড়া এর পাশে ছাতার নীচে বসে পানীয়তে চুমুক দিতে দিতে রিল্যাক্সও করা যায়।
এদিকে ছাদের এ মাছ চাষ ছাড়াও ৩০ ধরনের অর্গ্যানিক গ্রিন টি প্লান্টও লাগিয়েছেন অমরজ্যোতি। এর থেকে তার ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ও হয়েছে। তিনি বলেন, অর্গ্যানিক গ্রিন টি আয়ের পাশাপাশি অ্যালঝাইমার্স বা পার্কিনসন্স-এর মতো রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে বেশ কার্যকরী।
অমরজ্যোতি জানান, বাড়ির ৪ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে ছাদ। সেখানে আয়েশ করার জায়গা ছাড়াও রয়েছে হাজার বর্গফুটের জলাশয়। আরো হাজার বর্গফুট জুড়ে রয়েছে অর্গ্যানিক কিচেন গার্ডেন। সেখানে মৌসুমি ঢেঁড়শ, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো শাক-সব্জির ফলন হয়।
গ্রিন টি ছাড়া আর কিছুই বিক্রি করেন না অমরজ্যোতি। তিনি জানিয়েছেন, ছাদের বাগান থেকে যা ফলন হয়, তা নিজেদের খাওয়া-দাওয়ার পর বন্ধুবান্ধব-পড়শিদের মধ্যে তা বিলিয়ে দেন। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন