বিজ্ঞানীদের সাফল্যে প্রায় এক হাজার প্রযুক্তি উদ্ভাবন

297

বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে কৃষি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে সবজি উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিস্কারের ফলেই এ সাফল্য এসেছে। হাইব্রিড ও জিএমও খাদ্যের ব্যাপারে সবাইকে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে এবং আমরা প্রতিদিন যে জিনিসগুলো খাবারের জন্য বা ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য খেয়ে থাকি সেটা আমরা নিজেরা উৎপাদন করব।

রোববার বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের (বারি) কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রনয়ণ কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।

কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে ৯ দিন ব্যাপী এ কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেশী জাত গুলোর ফলন বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞানীদের প্রতি আহবান জানান। উক্ত কর্মশালার বারির বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা তাদের বিগত বছরের গবেষনার ফলাফল ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় জানানো হয় ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ২০০ টিরও বেশি ফসলের ৪৭১ টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধজাত এবং ৪৫২ টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এ যাবত ৯০০ টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ সব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে, দেশে গম, তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ প্রযুক্তির উপযোগিত যাচাই-বাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূচী গ্রহন করাই এ কর্মশালার প্রধান লক্ষ্য। এ কর্মশালায় বারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক গবেষক উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন এমপি, মোঃ আব্দুল মান্নান এমপি, মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক ড.মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডল, বারির পরিচালক (গবেষনা) ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন, বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড.বীরেশ কুমার গোস্বামী।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ