‘বিদেশে না গিয়ে কৃষি উদ্যোক্তা হলেই সফলতা’

329

[metaslider id=”11101″]

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন গত ১ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য সরকারি সফরে যান।

সফরকালে তিনি প্রথমেই জেলার সরাইল উপজেলায় কালিকচ্ছ ব্লকের সফল কৃষক মো. জাকির হোসাইনের খামারের গ্রীষ্মকালীন বারি-৮ টমেটোর প্লট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কৃষকদের নানা সমস্যার কথা শুনে পরামর্শ প্রদান করেন।

এ সময় তিনি বলেন, সরকারের টেকসই পরিকল্পনার স্রোতধারায় বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটা অংকের টাকা ব্যায় করে ভিনদেশে না গিয়ে সমপরিমাণ শ্রম দিয়ে বাংলাদেশে কৃষি কাজ করে আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করে সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।

মহাপরিচালক, কৃষক জাকিরের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে মো. জাকির হোসাইন কৃষিকাজ করে সফল হয়েছেন।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কৃষকদের পক্ষ থেকে কৃষক মো. জাকির হোসাইন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমি ছিলাম একজন প্রবাসী, বিদেশে অনেক কষ্ট করেও সফলতা অর্জন করতে পারিনি সবসময় হতাশায় ছিলাম, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কৃষির অগ্রগতি দেখে আমি কৃষি কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হই। এর পর দেশে এসে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করি। বর্তমানে আমি আর্থিকভাবে সফল। আমি পাঁচ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো, ২ বিঘা জমিতে শসা, ৭ বিঘা জমিতে লাউয়ের চাষ করে ৮ লাখ টাকা খরচ করে বর্তমানে ১০ লাখ টাকা বিক্রি করেছি।

মহাপরিচালক কালিকচ্ছ ব্লকের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সরাইল কুট্টাপাড়া ব্লকে হাইওয়ের পাশে ভাসমান বীজতলা প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। পরে বিজয়নগর ২ নম্বর চান্দুরা ইউনিয়য়ন পরিষদে, কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্রের কার্যক্রম মূল্যায়ন করেন। একই দিনে বিজয়নগর পাহাড়পুর ব্লকের বারি মাল্টা-১ ও বারি কমলা-১ এর বাগান পরিদর্শন করেন।

এর পর তিতাস এগ্রোফার্ম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ব্লকের ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহারে নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রক্তুক্তি ময়না জাতের লাউয়ের প্রদর্শনী, রামরাইল ব্লকের কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এর পর দিনের শেষ বেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি আরো বৃদ্ধি করার জন্য উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

মহাপরিচালকের সাথে উপস্থিত ছিলেন- ন্যাশনাল এগ্রিকালচার প্রজেক্ট, ফেজ-২ এর পরিচালক, কৃষিবিদ ড. রতন চন্দ্র দে; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ মো. জাহেদুল হক; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপপরিচালক মো. আবু নাছের; কৃষি তথ্য সার্ভিস কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আসিফ ইকবাল।

এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।

সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন