বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার আয়োজনে চাঁদপুর জেলায় কৃষক প্রশিক্ষণ

139

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র, কুমিল্লা এর আয়োজনে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), চাঁদপুর জেলার সহযোগীতায়, ডিএই, উপপরিচালকের কার্যালয়ে, বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এর অর্থায়নে ৩০/১০/২০২৩ তারিখে ‘‘বিনা উদ্ভাবিত সরিষার জাতসমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল’’ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। কৃষক পর্যায়ে তেল জাতীয় ফসলের চাষ বৃদ্ধি করে নিজেদের তেল নিজেরাই উৎপাদন করে দেশে তেলের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ‌্য। বিনার গবেষণা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলার আওতাধীন পাঁচ শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল‌্যে বিনাসরিষা-৪, বিনাসরিষা-৯ ও বিনাসরিষা-১১ এর বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার ৫০ জন কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

প্রশিক্ষণে জুম এপের মাধ‌্যমে যুক্ত হয়ে কৃষকদের উদ্দেশ‌্যে প্রধান অতিথির বক্তব‌্য রাখেন, বিনা’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমান কমে আসছে। আবার উল্টোদিকে প্রতিবছরই জনগণের সংখ‌্যা বেড়েই চলছে। এমন অবস্থায় দেশে খাদ‌্য ও পুষ্টির ঘাটতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই খাদ‌্য চাহিদা সঠিকভাবে মিটানোর জন‌্য অল্প জমিতে বেশী ফসল উৎপাদন করতে হবে। কৃষিবান্ধব সরকারের নির্দেশনা হলো পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে হবে। এক ফসলী জমিকে দুই ফসলী, দুই ফসলী জমিতে তিন ফসলী এবং তিন ফসলী জমিকে চার ফসলের আওতায় আনতে হবে। এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন‌্য বিনা উদ্ভাবিত সরিষা ও ধানের জাত নির্বাচন করাই উত্তম। কারন বিনার জাতগুলো স্বল্প জীবনকালীন এবং খরা সহিষ্ণু। কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষক বেশি উপকৃত হবে। ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব‌্য রাখেন, ডিএই, চাঁদপুর জেলার উপপরিচালক, ড. সাফায়েত আহম্মেদ সিদ্দিকী; বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের, প্রকল্প পরিচালক, ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম; বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার ঊর্ধ্বোতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন; ডিএই, চাঁদপুর জেলার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, কৃষিবিদ সাইফুল হাসান আলামিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লা;র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ জুয়েল সরকার