বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), উপকেন্দ্র কুমিল্লার আয়োজনে, বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এর আর্থিক সহযোগীতায় ১/২/২০২৪ তারিখে বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার প্রশিক্ষণ হলে, বিনা ধান- ২৫ এর জাত পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রাশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ মো. আক্তারুজ্জামান। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে ভার্সুয়ালি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ড. মো. শহিদুল ইসলাম, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, বিনা ময়মনসিংহ ও ড. সাকিনা খানম, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ। উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা। ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা। ড. মো. আমানুল ইসলাম, মনিটরিং অফিসার ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন বিতরণ প্রকল্প। কৃষিবিদ মোঃ আবু তাহের, মনিটরিং অফিসার, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প। একটি জরিপের হিসাব অনুযায়ী দেখা যায় প্রতিবছর বিভিন্নভাবে ১ ভাগেরও বেশী হারে ফসলী জমি হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন নতুন আবাসন, রাস্তা, ব্রিজ, মিল ফেক্টরী গড়ে ওঠার ফলে এসব জমিগুলো চাষের উপযোগীতা হারাচ্ছে। অপরদিকে প্রতিবছর জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এ বিসাল জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মিটানোর জন্য অল্প জমিতে বেশী ফসল উৎপাদন, এক ফসলী জমিকে দুই ফসলী, দুই ফসলী জমিকে তিন ফসলী, তিন ফসলী জমিকে চার ফসলের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। এ ক্ষেত্রে বিনা ধান২৫ স্বল্পজীবনকালীন হওয়ায় একই জমিকে চার ফসলে রুপান্তর করা সম্ভব। এ ধান বোরো মৌসুমের সেরা ধান। বাসমতির মত সিকন, সরু ও লম্বা এবং খেতে সুস্বাদু। বিনা ধান২৫ সেচ, সার কম করেও কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য ধানের তুলনায় রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমনও কম হয়। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ধা ন২৫ অন্যন্য ভূমিকা রাখবে বলে প্রশিক্ষনে বক্তারা এসব কথা বলেন।