ভাতে-মাছে বাঙালি। এক সময় মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া হতো না। কিন্তু আজ সেই বাঙালি মাছ নিয়ে আছে বি’পদে। কোনটা ভালো আর কোনটা ফরমালিন মেশানো তাই নিয়ে প’ড়ে বি’পাকে। এরকম অব’স্থায় অনেকেই মাছ খাওয়া কমিয়েও দিয়েছেন।
একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় মাছে মেশাচ্ছে ফরমালিন। দীর্ঘ সময় মাছ ধ’রে রাখতে- পানিতে ফরমালিন মিশিয়ে মাছ ডুবানো হয়, আবার বরফে ফরমালিন মিশিয়ে মাছ রাখা হয়। কখনও বা ই’নজেকশনের শিরিঞ্জ দিয়ে নাড়ি ভুড়িতে ফরমালিন ঢু’কানো হয়। যাতে মাছ পচে না যায়।
যেভাবে চিনবেন মাছ
* ফরমালিন দেওয়া মাছের চোখ ভেতরে ঢুকে থাকে।
* মাছ ফ্যাকাশে দেখা যায়, শ’রীরে পিচ্ছিল পদার্থ থাকে না।
* ফুলকা কালচে বর্ণের হয়।
* মাছের শ’রীর শুকনো থাকে।
* মাছের উপরে মাছি বসে না, মৃ’ত্যুর ভ’য়ে।
* অনেক সময় প’চা মাছে কৃত্রিম রং মেশানো হয়। এক্ষেত্রে মাছের মুখ, কানকা, চোখ, বুকের পাখনা ও পে’টের দিকে চকচকে রঙিন দেখলে বুঝবেন এতে রং মেশানো হয়েছে।
রান্না করার পরও এর বিষাক্ততা কমে না। ফরমালিন ও কৃত্রিম রঙ দেওয়া মাছ খেলে কি’ডনি, লিভার, ফু’সফুস, চোখের দৃষ্টি শ’ক্তি ন’ষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বদহ’জম, পে’টের পীড়া, ডায়ারিয়া, গ্যাস্টিক, আলসার, হৃদরো’গ, জন্ডিস, শ্বা’সকষ্ট, ডায়াবেটিস জনিত রো’গও দেখা দিতে পারে। তাই মাছ কেনার আগে অবশ্যই ভাল করে যাচাই-বাছাই করে কেনা উচিত।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১১ডিসেম্বর২০২০