ভোলায় বর্ষাকালে বেবি তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন সৌরভ চন্দ্র হাওলাদার। কোন প্রকার পোকার আক্রমণ না থাকায় সফল হয়েছেন তিনি। বাজারে বিক্রি করেও পাচ্ছেন অর্থ। বিভিন্ন রঙের এ তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর; তেমনই খেতেও সুস্বাদু। তাই এ তরমুজের চাহিদা অনেক। এদিকে তার সফলতায় অন্যদের মাঝে চাষের আগ্রহ বেড়েছে।
জানা গেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামের সৌরভ চন্দ্র হাওলাদার পরিত্যক্ত ১০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক আবাদ করেন সফন বেবি তরমুজ। কম খরচে ৭০ দিনে জমিতে ফল বড় হতে শুরু করে। প্রথমে ভয় থাকলেও ফলন আসার পর মুখে হাসি ফুটেছে। ইতোমধ্যে একেকটি তরমুজের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেতে রয়েছে প্রায় ১ হাজার তরমুজ। তরমুজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকায়।
কৃষক সৌরভ চন্দ্র হাওলাদার জানান, একসময় তিনি বেকার ছিলেন। ধান চাষে তেমন লাভ না হওয়ায় অন্য কিছু করার চিন্তা করেন। প্রায় বছরখানেক আগে একটি এনজিওর কর্মীরা তাকে তরমুজ চাষে উৎসাহিত করেন। পরে ওই সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে বীজ পেয়ে নিজের জমিতে চাষ শুরু করেন। চাষ করতে তার খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা।
তিনি জানান, প্রথমে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাধা দেয়। কিন্তু তিনি কোন বাধা না মেনে চাষ করেন। ফলে মাত্র ৭০ দিনের মাথায় সফলতা পান। এপর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেন। এপর্যন্ত আরও ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান।
স্থানীয় কৃষক আলী মিয়া ও ইউনুছ মিয়া বলেন, ‘এত কম খরচে ও কম পরিশ্রমে এত লাভ হয়, আগে জানতাম না। আগামীতে আমরা ব্যাপকভাবে এ তরমুজ চাষ করবো।’
ভোলা গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ বছর তিন জন কৃষককে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও বীজ দেওয়া হয়। তারা পরীক্ষামূলক চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। আগামীতে ব্যাপক হারে আবাদ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করবো। – জাগো নিউজ
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ