বেশি ডিমের জন্য সোনালী মুরগি পালন করবেন যেভাবে

309

ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে করণীয় কি সে বিষয়ে আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারিরাই জানেন না। আমাদের দেশে দীর্ঘ দিন ধরেই সোনালী মুরগি পালন করে আসছেন খামারিরা। বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদনের জন্যই অনেকে সোনালী মুরগি পালন করে থাকেন। আজকে আমরা জেনে নিব ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে করণীয় সম্পর্কে-

বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে খামারিদের কিছু করণীয় বা পরামর্শ মেনে চলতে হয়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

খামারে ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে কোনভাবেই উদাসীন হওয়া যাবে না। গুরুত্বের সাথে ভালো করে খামার পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে খামারে লোকসান দেখা দিতে পারে। সোনালী মুরগি পালনের ক্ষেত্রে খামারীদের ভ্যাকসিন করতে এক প্রকার অনীহা দেখা যায়। ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগী পালন করতে চাইলে ভ্যাকসিন করার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিনসূচী অনুযায়ী ভ্যাকসিন করাতে হবে।

খামারে ডিম উৎপাদন করতে চাইলে অবশ্যই সোনালী মুরগীতে ৭ থেকে ১০ দিনের মাঝে “বিক ট্রিমিং” ও ১০ থেকে ১১ সপ্তাহের মাঝে “ডিবেকিং” করতে হবে। ডিম উৎপাদনের জন্য মুরগির খামার আলোকসূচি মেনে চলা জরুরী। সোনালী মুরগির খামারে লেয়ারের মতই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে।

সোনালীর ক্ষেত্রে ব্রূডিং কালে “এস্পারজিলোসিস” হবার প্রবল সম্ভবনা থাকে। তাই ব্রূডিং কালে লিটারে তুঁতের পানি ছিটিয়ে ব্রূডিং করতে হবে।৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মাঝে পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগীগুলোকে পৃথক করতে হবে। সাধারনত মুরগিগুলোর ঝুটি ও পালক দেখেই পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগী চেনা যায়।

১৪ থেকে ১৬ সপ্তাহে মুরগিগুলোকে খাঁচায় তুলতে হবে। এছাড়াও খাঁচায় রাখলে জানা যাবে কোন মুরগি ডিম দিচ্ছে আর কোনগুলো দিচ্ছে না। কিন্তু ফ্লোরে এটা জানা অসম্ভব।সোনালী মুরগি সাধারণত দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম খাবার গ্রহন করে। অতিরিক্ত বা কম খাবার দেয়া কোনটিই ঠিক না। এক্ষেত্রে মোট খাদ্যের ৬০% সকালে দিয়ে দিবেন। বাকি ৪০% খাবার দুপুরে ও বিকেলে দিতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৩ জানুয়ারি ২০২২