মুরগি পালন করা খুবই কষ্টকর। সামান্য রকমফের হলেই খামার সয়লাব হয়ে যায়। তাই, ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ে কয়েকটি সতর্কতা পালন করতে হবে।
ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ে নিচের সতর্কতাগুলো মনে রাখা উচিতঃ
(১) ব্রয়লার উৎপাদনে ৬০ থেকে ৬৫% টাকা খাবারের পেছনে খরচ হয়।
(২) সুষম খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় জিনিস খাওয়ালে অতিরিক্ত দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু গরম আবহাওয়া বা প্রবাহে আপনাকে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল দিতেইত হবে।
(৩) ব্রয়লার মুরগি তার সুষম খাবারের ৬৪% আমিষ দেহের কাজে লাগাতে পারে। ব্রয়লারের প্রয়োজনীয় আমিষ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
(ক) কলা বৃদ্ধির জন্য; ব্রয়লার মুরগির শরীরে ১৮% আমিষ আছে।
(খ) দেহের ক্ষয় রোধের জন্য; ব্রয়লার প্রতিদিন তার দেহের কেজি হিসেবে ওজনের ১৬০০ মিঃ গ্রাঃ আমিষ ক্ষয় করে।
(গ) পালক গঠনের জন্য; ব্রয়লার মুরগির পালকে ৮২% আমিষ আছে এবং গড়ে পালকের ওজন সমস্ত দেহের ৭০%।
গরমকালে ব্রয়লার সুষম খাদ্যে বেশি আমিষ দরকার শীতকালের তুলনায়। কারণটা হল মুরগি গরমকালে কম খায়।
ঠিক যতটুকু অ্যামাইনো অ্যাসিড দরকার ঠিক ততটুকুই ব্রয়লার মুরগিকে দিতে হবে। কমও নয়, বেশি তো নয়ই। যেহেতু বেশি পরিমাণে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহের ক্ষতি করে। কম অ্যামাইনো অ্যাসিড আবার দেহের বৃদ্ধিকে রোধ করে দেবে।
মাদি ব্রয়লার মুরগির চেয়ে মদ্দা ব্রয়লার মুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে।
সুতরাং, খামারের ভালর জন্য মাদি মদ্দা একসঙ্গে না পালন করে আলাদা আলাদা করা লাভজনক। প্রথম চার সপ্তাহ মদ্দা মাদিদ ব্রয়লার মুরগির আমিষের প্রয়োজন একই রকম। ৪ সপ্তাহ পরে মদ্দা ব্রয়লার মাদির চেয়ে ২% থেকে ৪ % বেশি আমিষের দরকার হয়। মাদিকে বেশি আমিষ দিলে সেটা খুব একটা কাজে আসে না।